নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের চলতি রাজনৈতিক চালচিত্রে দ্রুত পটপরিবর্তন ঘটছে। আজ সকালেই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য বিধানসভায় আগামীকাল শক্তি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু শক্তি পরীক্ষার আগেই উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ইস্তফা দেন। মঙ্গলবার ঘটনাক্রমে নতুন মোড় আসার আগে গতকালই দল তথা পরিবারে ভাঙন এড়ানোর জন্য অজিতকে বোঝানোর কাজ জোরদার করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। আজ সকালে মুম্বইয়ের ট্রাইডেন্ট হোটেল অজিতের সঙ্গে দেখা করেন শরদ, তাঁর মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল পটেল ও জয়ন্ত পাতিল। সূত্রের খবর, শরদ ভাইপো অজিতকে বলেন, আমি তোমার ওপর অসন্তুষ্ট নই। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে বাড়িতে ফিরে এসো। সুপ্রিয়া সুলেও অজিতকে আর্জি জানান যে, আপনার সিদ্ধান্ত ভুল। বিজেপির সরকার হচ্ছে না। দলে ফিরে আসুন।
অজিত এ সব কথা শুনতে থাকেন। শরদ তাঁকে বলেন, উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দাও। আর যদি তা না পারো, তাহলে কাল বিধানসভায় আস্থা ভোটের সময় সেখানে যেও না।
শুধু তাই নয়, শরদ আরও বলেন, তুমি যদি ভেবে থাক যে, বিজেপির অধ্যক্ষ তোমাকে এনসিপি-র পরিষদীয় দলনেতা করে দেবেন এবং তুমি হুইপ জারি করতে পারবে, তা কিন্তু হবে না। আমি এর সমাধান বের করে ফেলেছি। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। দল ভাঙার জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন দরকার। তুমি যদি না মানো, তাহলে আমি এনসিপি বি তৈরি করব এবং আমার কাছে ৫১ বিধায়ক রয়েছে। তাহলে এনসিপি পরিষদীয় দলের নেতা হওয়া সত্ত্বেও আমি সরকার গড়তে দেব না।
এই বৈঠকের কয়েক ঘন্টা পরেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন অজিত।
জানা গেছে, অজিতের সিদ্ধান্ত বদলের ক্ষেত্রে শরদের স্ত্রী ও তিন বোনের ভূমিকাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাড়িতে এই চার মহিলা পরিবারে ভাঙনের কথা বলেন। এই চার মহিলা হলেন, শরদের স্ত্রী প্রতিমা পাওয়ার, শরদের তিন বোন সরোজ পাতিল, রজনী সাসনে, মীনা তাই জগতাপ।