নয়াদিল্লি: ২০০৭ সালের আজমীর বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত স্বামী অসীমানন্দকে রেহাই দিল জয়পুরের বিশেষ এনআইএ আদালত। আরও ৯ অভিযুক্ত অব্যাহতি পেয়েছেন। তবে তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কোর্ট। এঁরা হলেন সুনীল যোশী (ইনি মারা গিয়েছেন), দেবেন্দ্র গুপ্তা ও ভবেশ পটেল।
২০০৭-এর ১১ অক্টোবর রমজান মাসে সুফি সন্ত খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন, জখম হন ১৭ জন। সেই নাশকতায় নাম জড়িয়েছিল আরএসএস নেতা স্বামী অসীমানন্দ সহ বেশ কয়েকজনের। অসীমানন্দই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে অভিযুক্ত হন।
অসীমানন্দ বর্তমানে রয়েছেন আম্বালা সেন্ট্রাল জেলে।
চার্জশিটে বলা হয়েছিল, ২০০২-এ অমরনাথ যাত্রা ও জম্মুর রঘুনাথ মন্দিরে মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করেছে, এই অভিযোগ তুলে তার বদলা নিতেই আজমীর দরগা, হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটায় আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ। রমজানের সময় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা ও সাম্প্রদায়িক অশান্তি, হিংসা ছড়ানোও এর লক্ষ্য ছিল।


এদিকে, একটি প্রথম সারির ম্যাগাজিনের দাবি, অসীমানন্দ তাদের দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত তাঁকে বলেন, বিস্ফোরণ ঘটানোটা খুব জরুরি। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্ঘকে জড়ানো যাবে না। যদিও আরএসএস অভিযোগ খারিজ করে ওই ম্যাগাজিনকে অসীমানন্দের দেওয়া সাক্ষাত্কারের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রচার প্রধান মনমোহন বৈদ্য। বলেন, পুরো সাক্ষাত্কারটাই আজগুবি, সাজানো।
পুলিশ প্রথমে আজমীর দরগায় বিস্ফোরণের ব্যাপারে কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীর হাত থাকার কথা বললেও অসীমানন্দের বক্তব্যের পর তদন্তের নজর ঘুরে যায় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির দিকে।
তদন্ত ভার প্রথমে এটিএস রাজস্থানের হাতে যায়। পরে তা তুলে দেওয়া হয় এনআইএ-কে।