লখনউ: উত্তরপ্রদেশের যদুবংশের মুষল পর্ব এখনও চলছে। অখিলেশ যাদব শিবির ব্যাঙ্কগুলিকে অনুরোধ করেছে, সমাজবাদী পার্টির যাবতীয় অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিতে। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শও নিয়েছে তারা। যদি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের অনুরোধ রাখে, তবে পার্টির ৫০০ কোটি টাকা মুহূর্তে খরচের অযোগ্য হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত অখিলেশের কাকা শিবপাল যাদবের সইয়ে ব্যাঙ্ক থেকে সমাজবাদী পার্টির টাকা তোলা যায়।
তবে অখিলেশ ও মুলায়ম শিবিরের মধ্যে মিটমাটের চেষ্টা যে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, এমনও নয়। ১১ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে শুরু হচ্ছে ভোট। তার আগে সম্পর্কে কিছুটা বোঝাপড়া আনতে শিবপাল যাদব শুক্রবারই দেখা করেছেন অখিলেশের সঙ্গে। কিন্তু কাকা যাই বলুন, অখিলেশের বক্তব্য পরিষ্কার। পরিবারকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে তিনি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে ডামাডোল আনতে পারবেন না। এমনকী পার্টির প্রতীক সাইকেল নির্বাচন কমিশন বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলে যে খবর শোনা যাচ্ছে, তাতেও অখিলেশ শিবিরের হেলদোল নেই।

কিন্তু ছেলের সঙ্গে যতই যুদ্ধ চলুক, মুলায়ম সিংহ যাদব বেশ বুঝতে পারছেন, রাজনীতির দাঁওপ্যাঁচে কার্যত একা হয়ে পড়েছেন তিনি। সঙ্গী বলতে শুধু ভাই শিবপাল, পুরনো বন্ধু অমর সিংহ ও অভিনেত্রী-রাজনীতিক জয়া প্রদা। অন্য সকলে ভিড়েছেন অখিলেশ শিবিরে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ২০৯জন আইনপ্রণেতা ও ৫১জন পুরপ্রতিনিধির সমর্থন রয়েছে। এঁরা সকলে বৃহস্পতিবার এফিডেভিট সই করে অখিলেশের নেতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন।

যাদব পরিবারের বয়স্করাও মনে করছেন, মুলায়মের এখন উচিত ছেলের সঙ্গে মিটমাট করে নিয়ে তাঁর উত্থান স্বীকার করে নেওয়া। মুলায়মের আরও দুই ভাই অভয় রাম যাদব ও রাজপাল যাদব লখনউ এসে পৌঁছেছেন, চেষ্টা করছেন, কোনওভাবে দুপক্ষেরই সম্মানরক্ষা করে একটা বোঝাপড়ার পথ খুঁজতে।

সবার চোখ এখন সাইকেলের মালিকানায়। নির্বাচন কমিশন কোন পক্ষকে দেবে এই প্রতীক? নাকি সত্যিই বাজেয়াপ্ত করে দেবে? রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যারা এই প্রতীক পাবে, উত্তরপ্রদেশ দখলের লড়াইয়ে অন্য পক্ষকে অনেকটা পিছনে ফেলবে তারা।