নয়াদিল্লি: পূর্ব দিল্লি থেকে ধরা পড়ল এক সন্দেহভাজন আল-কায়দা জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুমান হক নামে ২৭ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজনকে গতকাল বিকাশ মার্গ অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে ধৃতকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুবকদের নিয়োগের ব্লুপ্রিন্টের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নিতে চায় দিল্লি পুলিশ।
একটি সূত্রের দাবি, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের খবর, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ সুমান চার বছর হল আল কায়েদার সদস্য। ইতিমধ্যে সে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মগজ ধোলাই করেছে। এবার ভারতেও এসেছে একই উদ্দেশ্যে, এ দেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দিতে, তাদের মধ্য়ে মৌলবাদী চিন্তাভাবনা ছড়াতে, যাতে তারা মায়ানমার সেনার সঙ্গে লড়তে পারে। সে নিজে এক দক্ষ হ্যাকার, অস্ত্রশস্ত্র চালানোর ট্রেনিং নিয়েছে।
ঘটনাচক্রে আজই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে আইএসআই, আইসিস-এর সম্পর্ক আছে, ভারতের নিরাপত্তার সামনে তারা বড় চ্যালেঞ্জ, ফলে তাদের ভারতে থাকার অধিকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে।
সুমানের কাছ থেকে একটি পিস্তল, চারটি কার্তুজ, একটি ল্যাপটপ, বিদেশি ব্যাঙ্কনোট পাওয়া গিয়েছে। তার কাছে বিহারের কিষানগঞ্জের একটি ভোটার পরিচয়পত্রও মিলেছে।
দিল্লি পুলিশের দাবি, সুমানের আসল নাম সামি উর রহমান। বারো ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, সিরিয়া ঘুরে তারপর ঢুকেছে আল কায়েদায়।
এর আগে, গতমাসে দুটি পৃথক মামলায় ২ সন্দেহভাজন আল-কায়দা জঙ্গিকে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। গত ৯ অগাস্ট, সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর ভারতে ফিরতেই সঈদ মহম্মদ জিশান আলি নামে ২৯ বছরের সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে স্পেশাল সেল।
তার আগে, গত ১ অগাস্ট, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের থেকে খবর পেয়ে ২৫ বছরের সন্দেহভাজন জঙ্গি রাজা-উল-আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।