আমদাবাদ: আগামীকাল গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। উত্তেজনার প্রহর গুণছে বিজেপি ও কংগ্রেস। বুথ ফেরত সমীক্ষায় দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি। অন্যদিকে, গুজরাতে ইভিএম-এ জালিয়াতির অভিযোগ সরব কংগ্রেস। আগামীকালই পরিষ্কার হয়ে যাবে ছবিটা। তার আগে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ফল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এবারই প্রথম সরাসরি সদ্য কংগ্রেস সভাপতি হওয়া রাহুল গাঁধীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী লড়াই হয়েছে। দু’জনেই গুজরাতে প্রচারে ঝাঁপিয়েছিলেন। বিজেপি টানা ষষ্ঠবার গুজরাতে সরকার গঠনের লক্ষ্যে। অন্যদিকে, কংগ্রেস দু’দশক পরে এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া। বুথ ফেরত সমীক্ষা যদি সত্যি হয়, তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি মনোবল পাবে বিজেপি। তবে উল্টো ফল হলে কংগ্রেস আবার উজ্জীবিত হবে।

আগামীকাল গুজরাতের ৩৩টি জেলায় ৩৭টি কেন্দ্র ভোটগণনা হবে। প্রত্যেকটি গণনাকেন্দ্র কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার আগে আজ বড়গাম, বিরামগাম, দাস্করোই ও সাভলিতে ৬টি বুথে পুননির্বাচন হচ্ছে। এই বুথগুলিতে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের সময় যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। সেই কারণে ফের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এছাড়া ১০টি বুথে ভোটগ্রহণের আগে ইভিএম-থেকে মহড়া ভোটের ফল মুছে দিতে ভুলে গিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। সেই বুথগুলিতে ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে ভোটগণনা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এবার গুজরাতে দু’দফায় ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৬.৭৫ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ৬৯.৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। দু’দফা মিলিয়ে গড়ে ভোট পড়েছে ৬৮.৪১ শতাংশ। ২০১২ সালের নির্বাচনে ৭১.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তার চেয়ে ২.৯১ শতাংশ ভোট কম পড়ল।