নয়াদিল্লি: আমিষ খাওয়ায় বাধা দিতে পারে না সরকার। এলাহাবাদ হাইকোর্ট শুক্রবার এ কথা জানিয়ে দিল। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেই বেআইনি কসাইখানাগুলি বন্ধ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিষেধাজ্ঞার জেরে বহু কসাইখানা ও মাংসের দোকানের লাইসেন্স বাতিল হয়, অনেক দোকানের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ আটকে যায়। বেশ কিছু সংগঠন এর বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ জানায়, সরকার কোনও বাছবিচার করছে না, কসাইখানা ও মাংসের দোকানগুলির লাইসেন্স রিনিউ করছে না। বেশ কয়েকটি সংগঠন ধর্মঘটে নামে। বাজার থেকে মাংস উধাও হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পিটিশনও জমা পড়ে আদালতে।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হচ্ছে, এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া গেলেই কসাইখানা, মাংসের দোকানগুলিকে লাইসেন্স দেওয়া হবে বা লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানো হবে।
অভিযোগ ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী পদে আদিত্যনাথ বসছেন, এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই রাজ্যজুড়ে যাবতীয় বৈধ, অবৈধ কসাইখানার ঝাঁপ বন্ধ করে দিতে বিপুল উত্সাহে নেমে পড়ে প্রশাসনের লোকজন, কেননা বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেই বেআইনি কসাইখানা নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল।
আদিত্যনাথ আগেই বলেছিলেন, যেসব কসাইখানা নিয়ম মেনে চলছে, সেগুলির গায়ে হাত পড়বে না। কিন্তু নিয়ম ভেঙে চলা কসাইখানা বন্ধ হবেই।
আজ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট আদিত্যনাথ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, কসাইখানা, মাংসের দোকানের নতুন লাইসেন্স মঞ্জুর করতে হবে, যেগুলির লাইসেন্স আটকে রয়েছে, সেগুলি রিনিউ করতে হবে। সরকার জনসাধারণকে আমিষ খাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। এ ব্যাপারে ১৭ জুলাই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট নেবে আদালত। পাশাপাশি হাইকোর্ট এও বলেছে, কসাইখানা নিয়ন্ত্রণের দায় স্থানীয় প্রশাসনের। তারা তা এড়িয়ে যেতে পারে না।
বিচারপতি এ পি শাহি ও বিচারপতি সঞ্জয় হরখাউলির বেঞ্চ গতকাল রায়দান স্থগিত রেখেছিল।