এলাহাবাদ (উত্তরপ্রদেশ): জাতীয় সঙ্গীত জনগণমন-র ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’ কথাগুলি নাকি ইসলামের ভাবনার বিরোধী, এহেন কারণ দেখিয়ে স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলের কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে প্রিন্সিপাল সহ ৮ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের বাঘারা এলাকার এম এ কনভেন্ট স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্তের শুরু হয়েছে। তাছাড়া স্কুলটি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদনপ্রাপ্তও নয়।

দু দিন আগে পদত্যাগ করা শিক্ষকরা জানিয়েছেন, স্কুলের ম্যানেজার জিয়া-উল-হক তাঁদের জনগণমন গাওয়া যাবে না বলে ‘ফতোয়া’ দেন। আপত্তি করলে তিনি পরিষ্কার বলে দেন, স্কুলের ‘নীতি’ মানিয়ে নিতে না পারলে তাঁরা চলে যেতে পারেন।

এ ব্যাপারে প্রিন্সিপাল ঋতু ত্রিপাঠী বলেছেন, আমাদের কেউই খুব বেশিদিন এই স্কুলে আসিনি। আমরা এটা জেতে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি যে, গত ১২ বছর ধরে কখনও স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুমতি দেয়নি ম্যানেজমেন্ট। আমাদের যেহেতু হয় স্কুলের নীতি মেনে নিতে, নইলে চলে যেতে বলা হয়েছে, তাই আমরাও বিবেকের নির্দেশ মেনে একটা অবস্থান নিয়েছি।

তবে এত কিছুর পরও হক যুক্তি দিয়েছেন, আমাদের ভাগ্যবিধাতা হতে পারেন একমাত্র আল্লাহ-ই। ভাগ্যবিধাতা মানে হল যিনি আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ভারতকে কি করে আমাদের ভাগ্যবিধাতা বলব?

এলাহাবাদের মৌলিক শিক্ষা অধিকারী জইকারণ যাদব বলেছেন, স্কুলটা এখনও চলছে, জেনেই অবাক হয়ে যাচ্ছি। জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না বলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওদের বিরুদ্ধে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে।

এদিকে বিজেপির অভিযোগ, যে স্কুলটিতে গত ১২ বছর ধরে জনগণমন, বন্দেমাতরম গাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার পরিচালন কর্তৃপক্ষের পিছনে মদত আছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টির সরকারের। এক মন্ত্রীর আশীর্বাদ রয়েছে ওদের পিছনে। এটা ভোট রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়।