লখনউ: সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের ঘটনা যখন সারা দেশেই বিষাক্ত আবহাওয়া তৈরি করছে, তখন ধর্মীয় সৌভাতৃত্বের অনন্য নজির উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। পবিত্র রমজান মাসে প্রায় ৫০০ মুসলিমের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হল লখনউয়ের মনকামেশ্বর মন্দিরে। গত রবিবার গোমতী নদীর তীরবর্তী দালিগঞ্জ সেতুর পাশে হাজার বছরের পুরানো এই মন্দিরে আয়োজন করা হয় ইফতারের।
লখনউয়ের প্রথম কোনও মন্দিরে ইফতারের আয়োজন করা হল।রোজা শেষে ইফতারের পর পূণ্যার্থীরা মন্দিরের আরতিস্থলে নমাজও পড়লেন।
মন্দিরের প্রথম মহিলা পুরোহিত মহান্ত দেব্যাগিরি বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মেরই উচিত ভালোবাসা ও ভাতৃত্ববোধ সঞ্চারিত করা। কখনও কখনও মুসলিমরা 'কন্যা পূজন' করেন এবং বড়া মঙ্গল স্টল দেন এখানে। পুরোহিত, মহান্ত ও ইমামদের মতো ধর্মীয় প্রধানদের সংহতির বাণীই প্রচার করা উচিত। ভোর থেকে যাঁরা উপবাসে রয়েছেন, তাঁর মুখে খাবার তুলে দেওয়া খুবই মহত্ কাজ।
মহন্ত জানিয়েছেন, মন্দিরে কর্মীরা সহ তিনজন রাঁধুনি সকাল থেকেই ইফতারের আহার্য তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। এ ধরনের প্রথম কোনও ইফতারে প্রায় ৫০০ মানুষ আসবেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। শহরের সাম্প্রদায়িক সংহতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই আয়োজন একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
তেলি ওয়ালি মসজিদের মওলানা ফজল-ই-মান্নান জানিয়েছেন, ইফতারে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মহান্ত। এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তিনি সৌভাগ্যবান বলে মন্তব্য করেছেন মান্নান। তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তুলতে সহায়ক এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে একটি দৃষ্টান্ত।