নয়াদিল্লি: ৭০ বছরে ভারতীয় গণতন্ত্র এখন অনেক শক্তিশালী। সংবিধান প্রণেতা ভীমরাও অম্বেডকর বেঁচে থাকলে দেখে খুশি হতেন। সংবিধানের ৭০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংবিধান আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা কীভাবে পালন করব তা নিয়ে নাগরিকদের ভাবা উচিত, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।

সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে আজ সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন হয়। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হল, এটি নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব দু’বিষয়েই অবহিত করে। এবার আমাদের ভাবার সময়, কীভাবে সংবিধানকে সমৃদ্ধ করা যায়, কারণ নিজেদের দায়িত্ব পূরণ না করলে অধিকার সুরক্ষিত রাখতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।

মহারাষ্ট্রে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বয়কট করেন এই যৌথ অধিবেশন। তবে ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও উপ রাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বেশ কয়েক বছরে মানুষের অধিকারের কথা বারবার উঠে এসেছে, বহু মানুষ মনে করেন, তাঁরা ন্যায়বিচার ও সাম্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্তু সংবিধান শুরু হচ্ছে, ‘আমরা ভারতবর্ষের জনগণ’ এই শব্দবন্ধ দিয়ে। দেশের মানুষই সংবিধানের শক্তি, অনুপ্রেরণা ও লক্ষ্য। ভারতের গর্বিত নাগরিক হিসেবে সকলের ভাবা উচিত, কীভাবে আমাদের কাজ দেশকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।

তাঁর মতে, সংবিধানকে মাত্র দুটি মন্ত্রে ব্যাখ্যা করা যায়। ভারতীয়দের মর্যাদা ও ভারতের ঐক্য।

একই সঙ্গে তিনি তুলে আনেন ২৬/১১ সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ। বলেন, ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস, ভারতের কাছে আনন্দের দিন কিন্তু এই দিন আমাদের বারবার মনে পড়িয়ে দেয় ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার কথা। জঙ্গি হানায় মৃতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।