কেরালা:  আসনসংখ্যা ৭০কিন্তু সওয়ারি একা এক ছাত্রী! লকডাউনের মধ্যে একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাড়ি দিল বোট।করোনা আতঙ্কে আপস নয় কেরিয়ারের সঙ্গেছাত্রীকে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে এই বার্তাই দিল কেরল সরকার।


করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এখনও লকডাউন চলছে কেরালায়। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণির প্লাস ওয়ান বা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা। করোনার জেরে বেশ কিছু পরীক্ষা বাকি ছিল। শনিবার সেই বাকি পরীক্ষাগুলির দুটি হয়। কিন্তু লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে গিয়ে রীতিমত সমস্যায় পড়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সান্দ্রা বাবু। ১৭ বছরের সান্দ্রা আলাপুজ্জার প্রত্যন্ত এলাকা কুট্টান্ডের বাসিন্দা। এই এলাকা ভারতের মূল ভূখণ্ডের সব থেকে নিচু এলাকা।

চলছে না যানবাহনকিন্তু পরীক্ষা তো দিতে যেতেই হবে। বাধ্য হয়েই কেরল সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করে সান্দ্রা। সান্দ্রাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে রাজ্যের নৌ-পরিবহন দফতর।

কেরল সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে একটি আস্ত নৌকার ব্যবস্থা করা হয় ওই পরীক্ষার্থীর জন্য। ৭০ আসনের সেই নৌকায়  চড়ে দুদিন একাই পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল সান্দ্রা। তার পরীক্ষা না শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে নৌকাটি। পরীক্ষা দিয়ে সেই বিশাল ফাঁকা নৌকায় করে আবার বাড়ি ফেরে সে। নৌকায় সে ছাড়া ছিল মাত্র পাঁচ ক্রু সদস্য।

৭০ আসনবিশিষ্ট নৌকাটি শুধু তার জন্যই ভাড়া করা হয়। ১৭ বছরের সান্দ্রা জানায়এভাবে সরকার পাশে না দাঁড়ালে তার পরীক্ষা দেওয়া হত না। ফলে একটা বছর নষ্ট হত তার। বোটটি ভাড়া করতে সরকারের খরচ হয়েছে ৪,০০০ টাকা। কিন্তু সান্দ্রার থেকে মোটে ৯ টাকা নেওয়া হয়েছে। সান্দারার বাবা সাজি ভি নায়ারও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সরকারকে।