হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদের চেরলাপল্লী কেন্দ্রীয় জেলের নিরাপত্তা বাড়াল পুলিশ। এই জেলেই বন্দি রয়েছে পশু চিকিৎসক গণধর্ষণ ও খুনের ৪ অভিযুক্ত। অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, জেলের আশপাশে ৫ বা তার বেশি লোকের জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গতকাল ৫ জন ব্যানার নিয়ে জেলের কাছে পৌঁছে যান, দাবি করেন, অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। যাতে কেউ না জোর করে জেলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে তা নিশ্চিত করতে জেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শহরের বাইরের দিকে, চেরলাপল্লী শিল্পাঞ্চল যাওয়ার রাস্তায় পড়ে এই চেরলাপল্লী জেল। জেলের মূল দরজার পুলিশের একাধিক গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার দাবিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই শাদনগর আদালতে আবেদন করেছে। তাদের আশঙ্কা, স্থানীয় মানুষ যেভাবে এই ধর্ষণ-খুনে ক্ষোভে ফুঁসছেন, তাতে জেলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ধৃতদের এই মুহূর্তে ফাঁসির দাবিতে ৩০ তারিখ স্থানীয় থানায় ব্যাপক গন্ডগোল হয়। হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ওই থানা, ওখানেই ছিল ৪ অভিযুক্ত। তাদের শারীরিক পরীক্ষা করতে চিকিৎসকদের থানায় ডাকা হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে চলায় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাতে বাধ্য হন। কোনওমতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চার অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, নবীন, জল্লু শিবা ও চেন্নাকেশভুলুকে চেরলাপল্লী জেলে পাঠায় তারা। এখন তাদের রাখা হয়েছে আলাদা আলাদা হাই সিকিউরিটি সেলে, যেখানে শুধু সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্তদেরই রাখা হয়।

গত ৩ দিনে এই অভিযুক্তদের সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেননি। পুলিশ আরও দেখছে, এদের হাতে এমন কিছু যেন এসে না পড়ে, যাতে এরা আত্মহত্যা করতে পারে। ২৭ তারিখ শামসাবাদ এলাকার আউটার রিং রোডের টোল প্লাজার কাছে ২৫ বছরের ওই পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জেনেছে, তাঁর বাইকের চাকা ফাঁসিয়ে তাঁকে তারা ফাঁদে ফেলেছিল।