পর্যাপ্ত আইনের প্রয়োগ না থাকার ফলে হরতাল একটা লাগাতার ব্যাপার হয়ে উঠেছে, হঠাত্ হঠাত্ বনধ, হরতালে রাজ্যের অর্থনীতি ও সামগ্রিক ভাবে দেশের পর্যটন ব্যবসা মার খায় বলে অভিমত জানিয়েছে বেঞ্চ। বলেছে, প্রতিবাদের অধিকার অবশ্যই আছে, কিন্তু তা যেন নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ক্ষতি না করে।
রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে তিন সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা পেশ করতেও বলেছে আদালত। পিটিশনে চেম্বারের অভিযোগ, ২০১৮-য় কেরলে ৯৭টি বনধ হয়েছে, যাতে ব্যবসা, লোকজনের রুটিরুজি মার খেয়েছে। এ ধরনের হরতালের দিন দোকানপাট, শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছে সংগঠনদুটি। গত ডিসেম্বরেই রাজ্যের ৩৫টি বনিক গোষ্ঠী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বনধ, হরতালের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৯-কে হরতাল-বিরোধী বর্ষ হিসাবে পালন করবে। শবরীমালা ইস্যুতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির ডাকা হরতালে কেরলে ব্যাপক অশান্তি হয়।
শবরীমালা ইস্যুতে লোকসভায় আজ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের দাবি খারিজ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কেরলে ক্ষমতাসীন সিপিএম, বামেরা খুনের রাজনীতি করছে, যার শিকার বিজেপি কর্মীরা, এই অভিযোগ তুলে দুবে দাবি করেন, ওদের সরকারকে বরখাস্ত করে কেরলে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। পাল্টা বিজয়ন জানান, ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে তাঁর সরকারকে চাপে ফেলা যাবে না। বলেন, হিংসা হিংসাই, সরকার তা দমনে কঠোর পদক্ষেপ করবে। অন্য রাজ্যে আরএসএস অশান্তি করলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, যারা দিনেদুপুরে খুনখারাপি করে, তারাও সাজা পায় না। এধরনের লোকজন কেরলে কিন্তু পার পাবে না।