নয়াদিল্লি: ডোকালাম ইস্যুতে ভারত-চীন সম্পর্কে জটিলতার মধ্যেই চিন ও ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর বৈঠক ঘিরে নয়া বিতর্ক। যদিও কংগ্রেস এই বৈঠককে অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছে। চিন ও ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোথায় ও কখন রাহুলের বৈঠক হয়েছিল, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু জানানো হয়নি দলের পক্ষ থেকে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এই বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, জি-৫ ভুক্ত দেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলির দূতেরা মাঝেমধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সহ সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। সুরজেওয়ালা বলেছেন, ’সে তিনি চিনা দূতই (লুও ঝাওহুই) হোন বা ভূটানের দূত (ভেটসপ নামগিয়েল) বা প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন। রাহুল এই তিনজনের সঙ্গেই বৈঠক করেছেন’।

সুরজেওয়ালা বলেছেন, বিদেশমন্ত্রক যেভাবে বিষয়টি দেখাতে চাইছে সেভাবে এ ধরনের সৌজন্য সাক্ষাতকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর কিছু নেই।

কংগ্রেস মুখপাত্র আরও বলেছেন, রাহুল সহ অন্যান্য বিরোধী নেতারা ‘দেশের স্বার্থ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন’ এবং ইন্দো-চিন সীমান্তের ‘উদ্বেগজনক পরিস্থিতি’ সহ ‘ভুটান ও সেইসঙ্গে সিকিমের উদ্ভূত পরিস্থিতি’ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

উল্লেখ্য, ভারত-চিন-ভূটানের সীমান্তের সংযোগস্থল ডোকালামে গত তিন সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ওই এলাকায় চিন রাস্তা তৈরি করতে চায়। নয়াদিল্লির মতে, ডোকালাম ভুটানের অন্তর্ভুক্ত, ফলে সেখানে চিনের রাস্তা তৈরি ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে ঝুঁকির কারণ হতে পারে। সেজন্য ভারত সেখানে সেনা পাঠিয়েছে। ডোকালামে সেনা পাঠানো নিয়ে দফায় দফায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেজিং। দিয়েছে হুমকিও। যদিও তাতে নিজেদের অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেনি নয়াদিল্লি।