নয়াদিল্লি: রামমন্দির তৈরির ব্যাপারে অমিত শাহের ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদ সংস্থার খবর অস্বীকার বিজেপি নেতার। সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের খবর, গত শুক্রবার একদিনের সফরে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি। সেখানে তেলঙ্গানা বিজেপি রাজ্য কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনি ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের আগেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ শুরু হবে বলে ঘোষণা করেন, মন্দির তৈরির পথে যাবতীয় বাধা দূর করতে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান।

এ ব্যাপারে বিজেপি রাজ্য কমিটির দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহকে উদ্ধৃত করে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য পেরালা শেখরজি বলেন, বর্তমান ঘটনাবলী, পরিস্থিতি বিচার করে আমার বিশ্বাস, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগেই রামমন্দির নির্মাণ শুরু হবে। বৈঠকে লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা হবে না বলে জানান, রাজ্যে দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া, কৌশল তৈরি শুরু করে দিতেও রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন বিজেপি সভাপতি।

কিন্তু তাঁর রামমন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত খবরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের বিজেপি সদস্য সি রামচন্দ্র রাও তা অস্বীকার করেন। শেখরজির বিবৃতি উড়িয়ে তিনি বলেন, ওই বৈঠকে আমিও হাজির ছিলাম। এক দলীয় সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে উনি বলেন, মন্দির তৈরির বিষয়টি আদালতের বিবেচনাধীন। অবশ্য এও বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে তিনি চান, ২০১৯ এর নির্বাচনের আগেই আদালতের রায় বেরিয়ে যাক।




পাশাপাশি আইএএনএসের খবরটি সঠিক নয় বলে ট্যুইট করেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক পি মুরলিধর রাও। বলেন, শ্রীরামজন্মভূমি বিতর্ক সংক্রান্ত খবরটি পুরোপুরি ভুল। গতকালের সফরে অমিত শাহজি এমন কোনও কথাই বলেননি।
এবিপি আনন্দকে এ নিয়ে কংগ্রেস নেতা অখিলেশ প্রতাপ সিংহ বলেন, বিজেপি বারবার রামমন্দির ইস্যুটা খুঁচিয়ে তোলে। ভোটারদের বিভ্রান্ত করাই এর উদ্দেশ্য।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বিধায়ক ওয়ারিস পাঠানও ফোনে বলেছেন, অমিত শাহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নন যে, মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করবেন। বিষয়টি যখন আদালতের বিচারাধীন রয়েছে, তখন বিজেপি কেন অপেক্ষা করতে পারছে না? ওরা সংবিধানে বিশ্বাস করে কি করে না?