রায়পুর: জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীকে ‘চতুর বানিয়া’ বললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ছত্তিশগঢ় সফরে গিয়ে কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের পক্ষে সওয়াল করে মহাত্মাকে এই কটাক্ষ করেন তিনি।


রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সভায় বিজেপি সভাপতি দাবি করেন, কংগ্রেসের সুনির্দিষ্ট কোনও নীতিই নেই। কংগ্রেস কোনও একটি বিশেষ ভাবধারা, বিশেষ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি। কংগ্রেস ছিল স্রেফ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য় একটা প্ল্যাটফর্ম। দক্ষিণপন্থী থেকে বামপন্থী, সমাজবাদী ও কমিউনিস্ট-বিভিন্ন আদর্শে বিশ্বাসীরা কংগ্রেসে সামিল হয়েছিলেন। মহাত্মা গাঁধীর দূরদৃষ্টি ছিল। চতুর বানিয়া মহাত্মা জানতেন কী হতে পারে। তাই স্বাধীনতার পরই তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস ভেঙে দেওয়া উচিত। মহাত্মা গাঁধী করেননি, কিন্তু এখন কিছু লোক ওই দল ভেঙে ফেলার কাজ সম্পন্ন করছেন। এজন্যই ওই কথা বলেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। কেননা কংগ্রেসের কোনও আদর্শ ছিল না... দেশ চালানো, সরকার চালানোর কোনও সিদ্ধান্তই ছিল না’।

অমিত শাহর ওই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, মহাত্মা গাঁধীকে চতুর বানিয়া বলে স্বাধীনতা সংগ্রামেরই অপমান করলেন অমিত শাহ। ক্ষমতার কারবারী অমিত শাহ স্বাধীনতার লড়াইকে ব্যবসায়িক মডেল বলছেন!

সুরজেওয়ালার তোপ, সঙ্ঘকে ইংরেজ সরকার তাদের উদ্দেশ্য পূরণের বিশেষ হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করত। মহাত্মা গাঁধীকেও কোনও একটা জাতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়াতে বিজেপির চিন্তাভাবনারই প্রতিফলন ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেছে কংগ্রেস।

মহাত্মা সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।