নয়াদিল্লি:  গত সপ্তাহে তিরিশ হাজারের ওপর শিশু পর্ন সংক্রান্ত ফাইল কাছে রাখা ও শেয়ার করার জন্যে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় মার্কিন ভাষাতত্ত্ববিদ জেমস কির্ক জোনসকে। কিন্তু তদন্তে নেবে সরকারি আধিকারিকদের চক্ষু চড়ক গাছ। শুধু মেট্রো সিটি নয়, শিশু পর্নের মারাত্মক চাহিদা রয়েছে ভারতের টু টায়ার শহরগুলোতেও। প্রসঙ্গত, শিশু পর্ন সবচেয়ে বেশি দেখা ও শেয়ার করা হয় অমৃতসরে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লি।


ভারতের টু টায়ার শহর যেখানে শিশু পর্নের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে সেগুলো হল অমৃতসর, লখনউ, আলেপ্পো এবং ত্রীশূর। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত অমৃতসরে ৪.৩ লক্ষ শিশু পর্ন ফাইল শেয়ার করা হয়েছে।

তবে যে খবরে চমকে গেছেন সরকারি আধিকারিকেরা সেটা হল গত ছ মাসে আগরা, কানপুর, ব্যারাকপুর এবং ডিমাপুরে শিশুপর্নোগ্রাফির কোনও চাহিদা না থাকলেও, সম্প্রতি সেখানেও এর চাহিদা মারাত্মক বেড়েছে। সমীক্ষা বলছে অনলাইন শিশু পর্নের সঙ্গে অফলাইনে শিশুদের ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা সরাসরি ভাবে যুক্ত। শিশু পর্ন দেখে তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর প্রবণতা মানুষের মধ্যে বেড়ে যায়।

সমীক্ষায় সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, যারা শিশু পর্নোগ্রাফি দেখে, তারা মূলত (টিওআর) বা দ্য ওনিয়ন রুটার ব্যবহার করে। এর ফলে ভারতে বসে দেখলেও আইপি অ্যাড্রেসটা অন্য দেশের মনে হয়। যার ফলে বেশির ভাগ সময়ই তদন্তকারীরা এরসঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের ট্র্যাক করতে পারে না।

প্রসঙ্গত, বর্তমান আইন অনুযায়ী, শিশু পর্নোগ্রাফি দেখা এবং শেয়ার করা একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। দোষী সাব্যস্তের সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।