আমরোহা: তিন তালাক নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন এই শোচনীয় প্রথার আরও এক শিকার। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা, জাতীয় নেটবল চ্যাম্পিয়ন সুমায়লা জাভেদকে তাঁর স্বামী তিন তালাক দিয়েছেন। সুমায়লার অপরাধ, মেয়ের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

আমরোহা শহরের পিরজাদা মহল্লার মেয়ে সুমায়লা ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলেন। নেটবলে ৭বার জাতীয় স্তরে খেলেছেন তিনি। হয়েছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নও। পুরস্কারে তাঁর ঘর ভর্তি।

প্রতিভাধর এই খেলোয়াড়টির নিকাহ হয় ২০১৪-র ৯ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ের গোঁসাইগঞ্জের মোহনলালগঞ্জের বাসিন্দা আজম আব্বাসির সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি থেকে শুরু হয়ে যায় পণের দাবি। সুমায়লাকে মারধর করা হত, এমনকী পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা হয়।

তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে বেআইনিভাবে ভ্রূণের লিঙ্গপরীক্ষা করানো হয়। জানা যায়, গর্ভে কন্যা রয়েছে। এরপর শ্বশুরবাড়ি পুরোপুরি পরিত্যাগ করে তাঁকে। গর্ভবতী মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বার করে দেয়।

আমরোহায় বাপের বাড়িতে মেয়ের জন্ম দেন সুমায়লা। মেয়ে নিয়ে ফের যান শ্বশুরবাড়ি। তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে বার করে দেয় শ্বশুরবাড়ির নোকজন। বলে দেয়, আর ফিরে আসার চেষ্টা কর না।

শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে উৎপীড়নের মামলা করেন সুমায়লা। এরপরেই স্বামী ফোনে তিন তালাক দেয়। তখন থেকেই বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছেন তিনি। এখন আবেদন করেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কাছে। তাঁর আশা, এবার বিচার মিলবে।