আগ্রা: শীর্ষ আদালতের রায়ে তিন তালাক বেআইনি হয়েছে দু মাস হয়ে গেল। কিন্তু বাস্তবে এখনও বহাল তবিয়তে বর্তমান তিন তালাকের অভিশাপ। অভিযোগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খালিদ বিন ইউসুফ খান হোয়াটসঅ্যাপে তালাক দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন খালিদকে।


একেবারে ভেঙে পড়ে ৩ সন্তানের মা ইয়াসমিন বলেছেন, যদি বিচার না পান তবে সন্তানদের নিয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবনের সামনে আত্মহত্যা করবেন তিনি।

অভিযুক্ত অধ্যাপক এএমইউয়ের সংস্কতের অধ্যাপক, ২৭ বছর ধরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত। তিনি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ ও পরে টেক্সট মেসেজ করে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। স্ত্রীকে বাড়ি থেকেও বার করে দিয়েছেন তিনি। বিচারের আশায় দোরে দোরে ঘুরছেন ইয়াসমিন। অবশেষে শুক্রবার সন্ধেয় পুলিশের সাহায্যে নিজের বাড়িতে ঢুকতে পেরেছেন তিনি। ইয়াসমিন জানিয়েছেন, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সুবিচার না পেসে ভিসি তারিক মনসুরের বাড়ির সামনে ৩ ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

ওই অধ্যাপকও স্বীকার করে নিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শুধু হোয়াটসঅ্যাপ ও এসএমএসে নয়, ইয়াসমিনকে তিনি শরিয়া মেনে ২ জন সাক্ষীর সামনে মৌখিকভাবেও তালাক দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০ বছর ধরে ইয়াসমিন হেনস্থা করে চলেছেন তাঁকে। বিয়ের আগে একাধিক সত্য গোপন করেছেন। বলেছিলেন, তিনি গ্র্যাজুয়েট কিন্তু বিয়ের পর দেখেছেন, তা মিথ্যে কথা।

যদিও ইয়াসমিনের দাবি, তিনি শুধু স্নাতক নন, এএমইউ থেকে স্নাতকোত্তর ও বিএড করেছেন তিনি।

পুলিশ বলেছে, ইয়াসমিন এখনও স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি, তিনি শুধু কাউন্সেলিং চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের বেশি কিছু করার নেই। তবে স্বামী স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে তারা।