শ্মশানে রাত কাটানোর আগে পালাকোলের সেখানেই নৈশভোজ সেরে নেন তিনি। প্রথম রাতটা কোনও ভূত নয়, মশা ভুগিয়েছিল বিধায়ককে। সঙ্গে পাশের একটা আবর্জনা স্থলের দূর্গন্ধ।
পরের দিন মশারি নিয়ে আসেন রামা নাইডু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, একটা গোলাপী রঙের বেডশিটের ওপর শুয়ে রয়েছে রামা নাইডু, গায়ে সাদা কম্বল।
তাঁকে কোনও ভূতের শিকার হতে হয়নি, তা প্রমাণ করতেই দু-তিন রাত শ্মশানে দু-তিন রাত কাটানোর পরিকল্পনা নেন তিনি।
ভূতের ভয়েই কর্মীরা শ্মশানের সংস্কারের কাজে যোগ দিতে রাজি না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেন বিধায়ক। কেউ একজন ওই শ্মশানে অর্ধদগ্ধ দেহ দেখতে পাওয়ার কথা রটিয়ে দিয়েছিল। তার পর থেকেই আতঙ্ক ও ভূতের গল্প ছড়িয়ে পড়ে।
বিধায়ক বলেছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই শ্মশানটি অবহেলার শিকার। সংস্কারের কাজের জন্য আট মাস আগে সরকার ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।কিন্তু টেন্ডার টাকার পরও ওই কাজের দায়িত্ব নিতে চাননি কোনও ঠিকাদারই। দুমাস আগে এক ঠিকাদার রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কর্মী কাজে যোগ দিতে চাননি।
ভূতের ভয় তাড়াতে রামা নাইডুর এই উদ্যোগ চোখে পড়ে বিজয়নের। তিনি বিধায়কের প্রশংসা করে একাধিক ট্যুইট করেন।
আসলে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে খুবই সক্রিয় রামা নাইডু। কর্মীদের মনে আস্থা ফেরাতেই পূর্ব গোদাবরী জেলার ওই শ্মশানে রাত কাটালেন তিনি।