নয়াদিল্লি: বিদ্যুতের বিল মাসে মাসে লাফিয়ে বাড়ছে, গৃহস্থ বাড়ির অন্দরে কান পাতলে এই অনুযোগ শোনা যায়। বিদ্যুত্ সরবরাহ সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভও ঝরে পড়ে সরকারি-বেসরকারি চাকুরেদের কথাবার্তায়। কিন্তু তা বলে ইলেকট্রিসিটি অফিসে চড়াও হয়ে মারধর করে খুন! কিন্তু সম্প্রতি এমনই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে।

১০৩৮ টাকা বিল এসেছে। কিন্তু সন্তোষ বিশ্বকর্মা ও তাঁর ভাগ্নে নিহালের অভিযোগ, টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে বেশি নিচ্ছে বিদ্যুত্ কোম্পানি। মামা-ভাগ্নে সোজা বিল নিয়ে হাজির হন সেন্ট্রাল পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে। টাকার অঙ্ক কমাতে হবে, সরাসরি দাবি করেন তাঁরা। এ নিয়ে প্রথমে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয় এক কেরানির সঙ্গে। হস্তক্ষেপ করেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার কমলকর ভারাথে। উত্তেজিত মামা-ভাগ্নেকে তিনি নিজের ঘরে ডেকে অভিযোগ শুনতে চান। কিন্তু তাঁর সঙ্গেও দুজনে তুমুল ঝগড়া শুরু করেন। শেষে তাঁর গায়ে হাত তোলেন। মুখে, ঘাড়ে, বুকে ঘুষির ঘায়ে গুরুতর জখম হন ভারাথে। বমি করে ফেলেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হলেও মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। মাত্র তিন মাস আগে বাবা হওয়া ভারাথেকে মাত্র ২৫ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হল।

মামা-ভাগ্নেকে গ্রেফতার করে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিদ্যুত্ বোর্ডের লোকজনের অভিযোগ, সরকার ও পুলিশ তাঁদের যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি।

এমন ঘটনা অবশ্য আগেও ঘটেছে। ২০১২-তেই ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের কর্মী ৫২ বছরের মীরা আহুজা অফিসের ভিতরেই খুন হন। তাঁর ক্যাশবাক্স থেকে ২ লক্ষ টাকা চুরি হয়। এমনকী বকেয়া বিলের অঙ্ক ১৮ হাজার টাকা হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতার বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। তিনি গত জুনে শাহজাপুরে এক বিদ্যুত সংস্থার কর্মীকে ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু খুনীও ধরা পড়েনি, তিনিও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।