নয়াদিল্লি: ২০০২ সালে ধীরুভাই অম্বানীর মৃত্যুর পর তাঁর বিশাল বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য দুই ছেলের মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বড় ছেলে মুকেশ অম্বানীর ভাগে গিয়েছিল রিলায়্যান্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ ও পেট্রোকেম। আর অনিল অম্বানী পেয়েছিলেন টেলিকম, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, পরিকাঠামোগত ব্যবসা।
ব্যবসা দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার পরে অনিলের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালে অনিল বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ছিলেন আর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় মুকেশ ছিলেন পঞ্চম স্থানে। কিন্তু পরবর্তী সময় থেকে অনিলের ব্যবসার অধোগমন শুরু। এখন তিনি কার্যত দৈউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে। সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি আদালতে অনিল জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত সাদামাঠা জীবনযাপন করেন। তাঁর একটি গাড়ি রয়েছে। আইনি খরচ চালাতে সমস্ত গয়না তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
রিলায়্যান্স টেলিকমের কর্নধার জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে গয়না বিক্রি করে ৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা তিনি জোগাড় করেছেন। অনিলের দাবি, তাঁর কাছে আর ’তেমন কিছু নেই‘। তিনি বিলাসবহুল গাড়ি চড়েন বলে শোনা যায়। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, অনিল বলেন, ’’সবটাই সংবাদমাধ্যমের জল্পনা। আমার কাছে কোনও দিনই রোলস-রয়েস ছিল না। একটি সাধারণ গাড়ি রয়েছে আমার।‘‘
২০১২ সালে কয়েকটি চিনা সংস্থা অনিলের সংস্থার বিরুদ্ধে ঋণ সংক্রান্ত মমালা করেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতেই অনিল আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি কার্যত দেউলিয়া। ওই মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে তিনি বলেছেন, “আমার খরচ খুবই কম। আমার স্ত্রী-পরিবার সেই খরচ বহন করেন। আমার অন্য কোনও উপার্জন নেই। গয়না বিক্রয় করে আইনি খরচ মিটিয়েছি এবং, যদি আমাকে আরও খরচ মেটাতে হয়, (এটি) অন্য সম্পত্তি বিক্রির জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে। "