জয়পুর: প্রবল ধুলিঝড়ে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। দু’টি রাজ্য মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০৮ জন। উত্তরপ্রদেশে মৃত ৭০ জন, রাজস্থানে ৩৮ জন। উত্তরপ্রদেশে আহত হয়েছেন অন্তত ৮৩ জন। রাজস্থানে আহত অন্তত ১০০ জন। উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।


উত্তরপ্রদেশের আগরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তাজমহলের শহরে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৫ জন আহত। এছাড়া বিজনৌর, বরেলি, সহারানপুর, পিলভিট, ফিরোজাবাদ, চিত্রকূট, মুজফফরনগর, রায়বরেলি ও উন্নাওয়েও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজস্থানের ঢোলপুর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভরতপুর, আলোয়ার, ঝুনঝুন জেলাতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পঞ্জাবেও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে দানা মান্ডিতে রাখা কৃষকদের গম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ, ফসল ঢাকা দেওয়ার মতো জিনিসপত্র কৃষকদের কাছে ছিল না। কৃষকরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ ও ফসল সুরক্ষার সরঞ্জামের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মান্ডিগুলি থেকে তাঁরা ফসল সরিয়ে নিয়ে যেতেও চাইছেন।

এরই মধ্যে ফের উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের ধুলিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী হিমাংশু শর্মা। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজস্থানে হাওয়ার গতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ফের ধুলিঝড় হতে পারে।এর ফলে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান সীমান্তবর্তী অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে করৌলি ও ধোলপুর অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।’

উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে হাওয়ার চাপ বাড়ছে। এর ফলেই ঝড় হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বিকানের, আলোয়ার, ভরতপুর, ঢোলপুর, করৌলি, সোয়াই মাধোপুর, সিকার, শ্রীগঙ্গানগর ও জয়সলমীরে ধুলিঝড়, বৃষ্টি বা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।