লখনউ: দেশে এই প্রথম ছাত্রীদের জন্য দরজা খুলে দিল একটি সৈনিক স্কুল। ক্যাপ্টেন মনোজ কুমার পান্ডে উত্তর প্রদেশ সৈনিক স্কুল এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ করেছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ১৫ জন ছাত্রীকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করেছে তারা।

তবে এই মেয়েদের সৈনিক স্কুলে ভর্তি হওয়া মোটেই সহজ ছিল না, এদের বেছে নেওয়া হয় ২,৫০০ ছাত্রীর মধ্যে থেকে। লিখিত পরীক্ষা হয়, তারপর সাক্ষাৎকার। এদের কারও বাবা মা চিকিৎসক, কারও শিক্ষক আবার কারও বা পুলিশ অফিসার। কৃষক ঘরের মেয়েও এই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখানে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।

সৈনিক স্কুলের অধ্যক্ষ কর্নেল অমিত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভোর ৬টার সময় পিটিতে যোগ দিতে হবে এই ছাত্রীদের, সোয়া আটটায় শুরু হবে ক্লাস বসার আগে প্রার্থনা। স্কুল শেষ হলে হস্টেলে ফিরে গিয়ে অল্প বিশ্রাম নেবে তারা, তারপর খেলাধুলো। সন্ধে ৭টা থেকে পড়াশোনা।

এই সৈনিক স্কুলটিতে ছাত্রী ভর্তির জন্য গত বছর প্রস্তাব যায় রাজ্য সরকারের কাছে। সিলমোহর মিলে গেলে মেয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রীদের থাকার জন্য খালি করে দেওয়া হয় ছেলেদের একটি হস্টেল। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সৈনিক স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়ে এই মেয়েরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত গর্বিত, তারা জীবনে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখে।

১৯৬০ সালে তৈরি এই স্কুলটি আগে পরিচিত ছিল ইউপি সৈনিক স্কুল নামে, এটিই দেশের প্রথম সৈনিক স্কুল। এটি চালায় রাজ্য সরকার, দেশের একমাত্র সৈনিক স্কুল যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতায় আসে না। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ, পরম বীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। হিরো অফ বাতালিক নামে পরিচিত এই যোদ্ধার নামে গত বছর স্কুলটির নামকরণ হয়।