ইন্দৌর: চলতি সপ্তাহেই একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিলাদের জন্য সবচেয়ে অসুরক্ষিত দেশ হল ভারত। এই রিপোর্ট নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশে ঘটে গেল এক পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা।
খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্দসৌর জেলায় এক সাত-বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করার পর গলা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মেয়েটি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে বিয়ারের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত মেয়েটির পাশে বসে বিয়ার খায় ধর্ষক। এরপর ভাঙা বোতলের কাচ দিয়ে গলা চিরে দেয়।
পুলিশ সুপার মনোজ সিংহ জানান, অভিযুক্ত ইরফান ওরফে ভাইয়ুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় বাজারে সে কুলির কাজ করে। তার কাছ থেকে রক্তমাখা কাপড় ও মেয়েটির স্কুলের ইউনিফর্ম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া মেয়েটি সেই সময় স্কুল থেকে ফিরছিল। ঘটনাস্থল থেকে তার স্কুলের ব্যাগ, টিফিন বক্স ও জলের বোতল উদ্ধার হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকেই মেয়েটির খোঁজ মিলছিল না।
খোঁজ করতে স্কুলে গেলে, সেখান থেকে জানানো হয়, মেয়েটি ১৫ মিনিট আগেই এক ব্যক্তির সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সওয়া ৬টা নাগাদ এক ব্যক্তির সঙ্গে যাচ্ছে মেয়েটি।
পুলিশের সন্দেহ, সম্ভবত পরিবারের কারও শরীর খারাপ বলে মেয়েটিকে নিজের সঙ্গে যেতে রাজি করায় অভিযুক্ত। এরপর ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সেখানে তার ওপর নারকীয় অত্যাচার চালায় ইরফান।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল তার শরীর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইন্দৌরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির গলায় ৩ সেন্টিমিটার গভীর ক্ষত রয়েছে। শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, ধর্ষণের ফলে, তার একাধিক অঙ্গ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।