জয়পুর: সকাল ৯টা ৫০-এ দিনের কাজ শুরু হবে জাতীয় সঙ্গীত 'জনগণমন' দিয়ে, সন্ধ্যা ৫টা ৫৫-য় শেষ হবে জাতীয় গান 'বন্দেমাতরম' বাজিয়ে। গতকাল থেকে এমনই রীতি চালু হল জয়পুর পুরসভায়। এই উদ্যোগের কোনও বিরোধিতা হয়নি, বরং বিরোধী দলনেতা সহ পুরসভার সকলেই তা সমর্থন করেছেন বলে দাবি শহরের মেয়র অশোক লাহোটির।

তিনি জানান, 'বন্দেমাতরম'-এর প্রথম পংক্তিটি লাউডস্পিকারে বাজার পরই কর্মীরা বাড়ি যেতে পারবেন। পুরসভা চত্বরে দুটিই বাজবে মাইক্রোফোনে, ফলে এক জায়গায় জড়ো হতে হবে না তাঁদের।

এমন উদ্যোগের সমর্থনে তাঁর সওয়াল, অফিসে ইতিবাচক কর্মসংস্কৃতি তৈরিই এর উদ্দেশ্য। অফিসের ভিতরে আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় গান বাজলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাব। গত ১৫ দিন ধরে পরীক্ষা চলছে এ নিয়ে, কেউ আপত্তি করেননি, আর যার অসুবিধা হবে, তিনি পাকিস্তানে চলে যেতে পারেন! আমরা তো কোনও ধর্মের হয়ে স্লোগান দিতে বলছি না।

লাহোটির আরও যুক্তি, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় গান বাজার সময় হাজির থাকার রীতি থাকলে সময়মতো অফিসে ঢোকা, অফিস খোলা থাকা পর্যন্ত হাজির থাকার অভ্যাসও গড়ে উঠবে।

নভেম্বরের শেষে জাতীয় সঙ্গীত আর জাতীয় গান, দুটিই পুরসভার সব জোনাল অফিস, অগ্নি নির্বাপক বিভাগের দপ্তরে বাজবে বলে জানান লাহোটি।

প্রদেশ কংগ্রেস সহ সভাপতি অর্চনা শর্মা মেয়রের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছেন, কেউ এই প্রয়াসে আপত্তি করেনি, তারপরও মেয়র এমন একটা অবাঞ্ছিত মন্তব্য করে বসলেন, যা থেকে মনে হয়, বিজেপি নেতাদের জাতীয়তাবাদী বলে জাহির করার দৌড়ে উনি সামিল হয়েছেন।

সম্প্রতি কেন্দ্রকে সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোয় নিয়ন্ত্রণ জারির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নিয়ম সংশোধন করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আর লাহোটি বলছেন, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় গানের জন্য সময় ব্যয় করতে না পারলে দেশের জন্য কোনও কিছুই করতে পারব না আমরা।

মেয়রের পাকিস্তান মন্তব্য প্রসঙ্গে আপনার মতামত লিখুন নীচের কমেন্টস বক্সে