সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট অফ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা-র পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতি উল্লেখ করে একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, ‘২০১৭-র মে-তে অ্যান্টিগার নাগরিকত্বের আবেদন জানান মেহুল চিনুবভাই চোকসি। তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে ইন্টারপোল সহ বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নেওয়া শুরু করে অ্যান্টিগা সরকার। জানা যায়, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে চোকসির সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় সেবি। ভারত সরকারের কাছ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রক ও মুম্বইয়ের আঞ্চলিক পাসপোর্ট দফতর কোনও খারাপ রিপোর্ট দেয়নি। সেবি জানায়, একটি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা নেই। অন্য একটি অভিযোগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
২০১৭-র নভেম্বরে অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পেয়ে যান চোকসি। তিনি এ বছরের ৪ জানুয়ারি ভারত ছেড়ে পালান এবং ১৫ জানুয়ারি অ্যান্টিগার নাগরিক হিসেবে যাবতীয় কর্তব্য পালন করার শপথ নেন। পরের দিন পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখার পক্ষ থেকে জালিয়াতির কথা জানানো হয়। ২০১৬-র ২৯ জুলাই হরি প্রসাদ নামে মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চোকসি ও তাঁর সংস্থাগুলির আইনবহির্ভূত কার্যকলাপের বিষয়ে অভিযোগ জানান। কিন্তু এরপরেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।