পুলিশ জানিয়েছে, অনুপম ক্যম্পাসে গেলে প্রচুর ছাত্র জমায়েতের সম্ভবনা রয়েছে। এতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গোলমাল হতে পারে ছা্ত্রদের মধ্যে। প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, তাই অনুপমকে এন আই টি–তে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারবে না প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে তাঁকে দিল্লি ফিরে যেতে বলা হয়েছে বলে এক পুলিশ আধিকারিক সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এখনও উত্তপ্ত এনআইটি ক্যাম্পাস। প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এবং বাইরে থেকে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে বিবাদ বড়সড় আকার নেয়। তা সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
কিন্তু এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ার যুক্তি মানতে নারাজ অনুপম। তিনি বলেন, একজন সহ নাগরিক হিসেবে তিনি সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। দেখা করতে চেয়েছিলেন এনআইটি-র ছাত্রদের সঙ্গে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। বিজেপির সঙ্গেও তাঁর আসার ঘটনার কোনও যোগ নেই।
সেখানে গিয়ে তিনি কোনও মিটিং মিছিলও করতেন না। তিনি বলেন, ভারতের একজন নাগরিক হিসেবে দেশের যেখানে খুশি যাওয়ার অধিকার তাঁর আছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কোনও বদ্ধ জায়গা নয়। সেখানে সবারই যাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে নৈতিক সমর্থন জানাতে গিয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এনআইটি ইস্যু নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গেও দেখা করার আর্জি জানিয়েছেন অনুপম।
প্রসঙ্গত, আজ সকালে শ্রীনগর বিমান বন্দরে পৌঁছন অনুপম। নিজেই সেকথা টুইটারে জানান।
এরপরই তিনি ট্যুইট করে জানান তাঁকে শ্রীনগরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। তাঁর কাছে এনআইটি-তে যাওয়ার নির্দেশ আছে কিনা সেটা দেখতে চাওয়া হয়েছে।