নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যে হলফনামা দাখিল করার ঘটনায় সোমবার নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর।
এদিন শীর্ষ আদালতে সশরীরে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ। আইনজীবীর মারফৎ আদালতকে তিনি জানান, মিথ্যে তথ্য দেওয়ার কোনও অভিপ্রায় ছিল না তাঁর।
এই প্রেক্ষিতে এদিন তিনি আরেকটি হলফনামার মাধ্যেমে জানান, কোন পরিস্থিতিতে তিনি ভুলবশত ভুল তথ্য দেন, যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
এরপর, বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলার শুনানি আগামী ১৭ তারিখ রাখেন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি বোর্ডের শীর্ষ কর্তা—অনুরাগ ঠাকুর ও সচিব অজয় শিরকেকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। লোঢা প্যানেলের সুপারিশকে মান্যতা না দেওয়ার জন্য তাঁদের দুজনকেই পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
উপরন্তু, স্বশাসন নিয়ে আইসিসি-কে লেখা চিঠি নিয়ে আদালতে মিথ্যে হলফনামা দাখিল করার জন্য অনুরাগের বিরুদ্ধে অবমাননার নোটিশ জারি করা হয়।
এদিনের শুনানিতে, বোর্ডের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কপিল সিব্বল জানান, বোর্ডকে রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈক করার অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ তা না হলে, সরকার ও বোর্ড- উভয়রই ভারী আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে।
যদিও, শীর্ষ আদালত নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের আইনজীবী পরাগ ত্রিপাঠী বোর্ডের দাবির বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, অনুমতি তখনই দেওয়া যেতে পারে যদি একমাত্র রাজ্য সংস্থাগুলি লোঢা প্যানেলের সুপারিশকে সম্পূর্ণভাবে মান্যতা দেওয়ার অঙ্গীকার করে।
এই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়ে দেয়, তারা আইসিসি নিয়ে ভাবছে না। তারা শুধু এটাই মনে করে, দেশ হিসেবে ভারত যাতে সেরা জিনিস পায়। অর্থাৎ, আর্থিক লোকসান হতে দেওয়া যাবে না। ফলে সবদিক বাঁচিয়ে সেরা পথ বের করতে হবে।