নয়াদিল্লি: নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা বললেন ফারুক আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, প্রায় ৭০ বছর ধরে কাশ্মীর সমস্যায় ভুগছে দুটি দেশই, চার চারটে যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু হিংসা, যুদ্ধও কোনও সমাধান নয়। ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি শুক্রবার এমন প্রস্তাবও দেন যে, কাশ্মীর ইস্যুর সমাধানে চিন ও আমেরিকার মতো তৃতীয় পক্ষকে সামিল করার উদ্যোগ নিক ভারত।


জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আর কতদিন অপেক্ষা করা চলে? হাজার বছর? আর কত যুদ্ধ চাই? ভারতের আর কত ক্ষতি হতে দেওয়া হবে? বিমান, সেনার সরঞ্জাম কিনতে যে অর্থ খরচ হয়, সেটা গরিব চাষির জন্য ব্যয় করলে ভারত সমৃদ্ধ হবে।

এই প্রসঙ্গে ফারুকের মন্তব্য, কখনও কখনও ষাঁড়ের শিং ধরে বাগ মানাতে হয়। যুদ্ধ মানেই ধ্বংস, কেননা পাকিস্তানের হাতেও আমাদের মতোই পরমাণু বোমা আছে। কাজেই সমস্যা মেটানোর রাস্তা আলোচনাই।
বিশ্বব্যাপী ভারতের অনেক মিত্র রাষ্ট্র আছে, কাশ্মীর সমস্যা নিরসনে যাদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, এমন মতও প্রকাশ করেন তিনি।

ফারুক বলেন, স্থায়ী মীমাংসার জন্য সহযোগী, মিত্র দেশগুলিকে আলোচনার সূচনা করতে কাজে লাগানো হোক। আমরা তো বলিনি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, চিনও বলেছে, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে চায়। আমরা তো গোটা কাশ্মীরকে কারও হাতে তুলে দিতে বলছি না। কাউকে না কাউকে তো বলতে হবে। কারও সাহায্য চাওয়া মানে তো সেই বন্ধুর হাতে সব সঁপে দেওয়া নয়।

বন্ধু বদলানো যায়, কিন্তু প্রতিবেশী নয়, ফারুক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির এই মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ঔদ্ধত্য, একগুঁয়েমি কোনও দেশকে উন্নতির রাস্তায় এগতে দেয় না।

যদিও ফারুকের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে ন নানা মহল। জম্মু ও কাশ্মীরের উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিংহের প্রতিক্রিয়া, এই বক্তব্যের নিন্দা করছি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে উনিই তো পাকিস্তান আক্রমণের কথা বলেছিলেন। তবে এখন কেন এমন দুমুখো কথাবার্তা?কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী এদিনই কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন।

যদিও রাহুলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওমর আবদুল্লা ট্যুইট করেছেন, আমার বাবা কংগ্রেসের লোক নন। সুতরাং নিজস্ব মত প্রকাশের জন্য ওনার কংগ্রেসের সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এটা অবাধ বাকস্বাধীনতার ব্যাপার।