এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বলেছে, ২০১৮-র এপ্রিলে জিএসটি খাতে সামগ্রিক রাজস্ব ছিল ১,০৩,৪৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি ১৮,৬৫২ কোটি টাকা, এসজিএসটি ২৫,৭০৪ কোটি টাকা। আইজিএসটি ৫০,৫৪৮ কোটি টাকা(আমদানি বাবদ আসা ২১,২৪৬ কোটি টাকা সহ), সেস হিসাবে সংগৃহীত হয়েছে ৮৫৫৪ কোটি টাকা (আমদানি খাতে পাওয়া ৭০২ কোটি টাকা সহ)।
এই পরিসংখ্যান পেশ করে মন্ত্রকের দাবি, জিএসটি খাতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধিতে গত ১ জুলাই চালু হওয়া নতুন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। জিএসটি বাবদ রাজস্ব বেশি আসার অর্থ অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়া। অবশ্য সাধারণত এটা দেখা যায় যে, অর্থবর্ষের শেষ মাসে সাধারণ মানুষ আগের কয়েকটি মাসের বকেয়া জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাই, এপ্রিলের রাজস্ব প্রাপ্তিকে ভবিষ্যতের প্রবণতা হিসাবে না দেখাই ঠিক।
মন্ত্রকের পরিসংখ্যান, এপ্রিলে সেটলমেন্টের পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মোট রাজস্ব ছিল কেন্দ্রীয় জিএসটি ৩২,৪৯৩ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি ৪০,২৫৭ কোটি টাকা। মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট জিএসটিআর ৩বি রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রায় ৬৯.৫ শতাংশ রিটার্ন ফাইল হয়েছে।
১৯.৩১ লক্ষ কম্পোজিশন ডিলারের মধ্যে ১১.৪৭ লক্ষ ত্রৈমাসিক রিটার্ন (জিএসটিআর ৪) পেশ করেছেন, মোট ৫৭৯ কোটি টাকা কর দিয়েছেন, যা এপ্রিলের মোট জিএসটি রাজস্ব ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ধরা রয়েছে।
জিএসটি বাবদ সংগ্রহ এপ্রিলে ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি, এটা বিরাট সাফল্য যা আর্থিক লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সূচক। অন্যান্য নানা রিপোর্টেও এ কথা বলা হয়েছে। ট্যুইটে তিনি এও বলেন, আর্থিক পরিস্থিতি, পরিবেশের উন্নতি, ই-ওয়ে বিল চালু, জিএসটি ভাল মতো কার্যকর হওয়ার ফলে পরোক্ষ সংগ্রহ বৃদ্ধির গতি বহাল থাকবে।
কর সংগ্রহ বৃদ্ধির ফলে দেশের পক্ষে আর্থিক দিগন্ত আরও ছড়িয়ে দিতে, তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সুবিধা হবে বলেও জানান তিনি।