নয়াদিল্লি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও সেনাবাহিনীর অন্যান্য অভিযানকে যাতে রাজনৈতিক স্বার্থে শাসক দল তথা কেন্দ্রের সরকার ব্যবহার না করে, সেজন্য তাদের বিরত রাখা হোক—এমনই আবেদন জানিয়ে পেশ হওয়া একটি জনস্বার্থ পিটিশন আজ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশনটি পেশ করে দিল্লির আইনজীবী মনোহর লাল শর্মা আবেদন করেন, এ ব্যাপারে সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।

তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে। এজন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কোনও কৃতিত্বই দাবি করতে পারেন না, কেননা সংবিধান মতে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা তা করেছেন। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীর কৃতিত্বকে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করে শর্মা এও দাবি করেন, যাঁরা সশস্ত্র বাহিনীর সাফল্যের ভাগ নিতে চাইছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জবাবদিহি করার দায় শুধু রাষ্ট্রপতির কাছেই, সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নাক গলানো থেকে বিরত রাখতে হবে।

কিন্তু প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে প্রশ্ন করে, এতে ব্যক্তিগত স্বার্থের কী আছে?

মনোহর লালের পিটিশনটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়ে তা খারিজ করে বেঞ্চ বলেছে, সশস্ত্র বাহিনী সরকারের কাছে দায়বদ্ধ। তাদের জবাব দেওয়ার দায় সরকারের কাছে। নয়ত এ দেশে সামরিক শাসন বহাল থাকত। আমরা এই আবেদনে কোনও সারবস্তু খুঁজে পাচ্ছি না।