নয়াদিল্লি: তাদের বৈষম্যের দিকগুলির দিকে নজর দেওয়া হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদিত সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশে খুশি নয় দেশের সশস্ত্র বাহিনী।


সুপারিশের কিছু জায়গায় যে ঘাটতি থেকে গিয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর তরফে কিছু সুপারিশ তিনি নিজে তদ্বির করেছিলেন। তা সত্ত্বেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।

প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিশনের রিপোর্টে যে ঘাটতির জায়গাগুলি ছিল, তা চিহ্নিত করার জন্য ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। এর থেকে পরিষ্কার, সশস্ত্র বাহিনীর দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানান, আশাব্যঞ্জক ব্যাপার একটাই। তা হল, এতদিন সব সরকারই এই ঘাটতির অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে একটিই কমিটি গঠন করত। কিন্তু, বর্তমান সরকার সেই পথে না হেঁটে একাধিক বিষয়ের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করেছে।

সূত্রের মতে, অভিন্ন বেতন পরিকাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে বাহিনী ক্ষুব্ধ। বাহিনীর অভিযোগ, তাদের ২৪টি পে-লেভেল রয়েছে। অথচ, আমলাদের রয়েছে ৪০। ফলে, আমলাদের তুলনায় তাদের বেতন অনেকটাই কম।

দ্বিতীয়ত, বাহিনী চেয়েছিল, নন-ফাংশানাল আপগ্রেডেশন (এনএফইউ)-কে কার্যকর করা হোক। তাতে, কোনও সামরিক অফিসারের নিয়মমাফিক পদোন্নতি না হলেও, অন্যান্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর মতো বেতন-বৃদ্ধি হত।

বাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্ষোভ হল, যে জওয়ান সিয়াচেনে পাহারা দিচ্ছেন, নিজের জীবনের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁর ভাতা মাসে ৩১,৫০০ টাকা। সেই জায়গায়, একজন আমলার ক্ষেত্রে তাঁর বেতনের ৩০ শতাংশ হিসেবে ‘হার্ডশিপ অ্যালাওয়েন্স’ ভাতা পেয়ে থাকেন।