নয়াদিল্লি: দেশের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জামের কোনও অভাব নেই। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাহিনীর হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ এ কথা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি সিএজি রিপোর্টে সেনা বাহিনীর প্রয়োজনীয় গোলাবারুদের অভাবের কথা বলা হয়। রিপোর্টে জানানো হয়, ভারতীয় সেনার হাতে যে পরিমাণ গোলাবারুদের মজুত রয়েছে যুদ্ধের সময় তা বড় জোর ১০ দিন চলতে পারে। এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যসভায় বিরোধী সদস্যরা সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। এর জবাবে জেটলি সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, সিএজি রিপোর্টে একটি নির্দিষ্ট সময়ে গোলাবারুদের ঘাটতির কথা বলা হয়েছে। তারপর থেকে এ ব্যাপারে তাত্পর্য্যপূর্ণ অগ্রগতি ঘটেছে। অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ সংগ্রহের প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ করা হয়েছে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটেছে। সবমিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনী পুরোদস্তুর ও পর্যাপ্তভাবে সুসজ্জিত।

যদিও প্রতিরক্ষার মন্ত্রীর জবাবে সন্তুষ্ট হননি বিরোধী সদস্যরা। কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা প্রশ্ন করেন, প্রক্রিয়ার সরলিকরণ হয়েছে কবে? তা তো মাত্র কিছুদিন আগে হয়েছে।

শর্মা বলেন, এ বিষয়ে গত তিন বছরে কিছুই করেনি সরকার। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দেশে পূর্ণ সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেই। আগে যিনি ছিলেন সেই মনোহর পর্রীকর ছিলেন ‘অকর্মন্য’।

এর আগে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন সমাজবাদী পার্টি সাংসদ রামগোপাল যাদব। তিনি বলেন, চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে সিএজি-র ওই রিপোর্ট এসেছে। তিনি বলেন, সিএজি-র ওই রিপোর্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। গোলাবারুদের এই ঘাটতি কেন?

কংগ্রেসের রিপুন ভোরা বলেন, ২০০৯ এবং ২০১৩-তে তত্কালীন ইউপিএ সরকারের আমলে গোলাবারুদ সংগ্রহের ব্যাপারে বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তগুলি বর্তমান সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়নি। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রক ১৬,৫০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। কিন্তু তার রূপায়ণ হয়নি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সিএজি রিপোর্টে ২০১৩-র সময়ের কথা বলা হয়েছে।