বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার যে ৪৮ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা ডিলে ছাড়পত্র দিয়েছে, সে প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, আমরা হ্যালের কাছ থেকে ৮৩টি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এলসিএ তেজস ফাইটার জেট সংগ্রহে সম্মতি দিয়েছি। এর ফলে দেশে ৫০ হাজারের বেশি কাজের সুযোগ তৈরির সুযোগ মিলবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে হওয়া নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক ওয়ান এ ফাইটার জেট কেনার জন্য সবচেয়ে বড় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহে সম্মতি দিয়েছে। এই ডিলের ফলে ভারতীয় বায়ুসেনার দেশের ভিতরে বানানো যুদ্ধবিমানের শক্তি জোরদার হবে। রাজনাথ এর আগে এই ডিলকে ‘আত্মনির্ভরতার স্বার্থে গেম-চেঞ্জার’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
লাদাখ সংঘাতের প্রেক্ষাপটেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য। গত ৯ মাস ধরে চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চিনা সেনাবাহিনীর মোকাবিলায় ভারতীয় জওয়ানরা সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি অক্ষত রেখে প্রহরা দিয়ে চলেছেন। এপর্যন্ত দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ৮ দফা সামরিক আলোচনা হয়েছে। নবম দফায় কোর কমান্ডার স্তরের অফিসারদের আলোচনার দিনক্ষণ স্থির হয়নি এখনও। চলতি সংঘাতের মধ্যে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা সাহসিকতা, ধৈর্য্যের নজির গড়েছেন, যা বিশদে বর্ণনা করলে প্রতিটি ভারতীয় গর্ব বোধ করবেন বলেও মন্তব্য করেন রাজনাথ। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদোরিয়া গত সোমবার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পূর্ব লাদাখর সামনের এলাকা পরিদর্শন করেন।
গত ১ জানুয়ারি প্রকাশিত বছর শেষের সামগ্রিক বড় ঘটনাবলীর মূল্যায়নে প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছিল, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সংবেদনশীল এলাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধে অপ্রচলিত অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োগ করে। মন্ত্রকের দাবি, পিএলএ ওখানকার স্থিতাবস্থাই একতরফা বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হঠকারী চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে।