আমাদের সেনা জওয়ানরা কথা বলেন না, কাজে করে দেখান, ভোপালে শৌর্য স্মারক উদ্বোধন করে বললেন মোদী
web desk, ABP Ananda | 14 Oct 2016 05:53 PM (IST)
ভোপাল: সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুক্রবার ভোপালে নবনির্মিত শৌর্য স্মারকের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে লাল প্যারেড ময়দানে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেনা জওয়ানদের কথা উঠলে ওঁদের সাহস, বীরত্ব, উর্দির প্রসঙ্গই তুলি। কিন্তু ওদের মানবতার উদাহরণ হিসাবেও দেখা উচিত আমাদের। কাশ্মীর, বদ্রীনাথ, কেদারনাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় যেভাবে জওয়ানরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান, তার উল্লেখ করে মোদী ওঁদের মানবিক চেহারার প্রসঙ্গ তোলেন। ভারতীয় জওয়ানরা ইয়েমেনে পাকিস্তানি সেনাদের রক্ষা করেছেন, বলেন সে কথাও। তিনি এও বলেন, এ আমার পরম সৌভাগ্য যে, আজকের ঐতিহাসিক দিনে আমাদের বীর সেনানিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেলাম। সেনা জওয়ানদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার পাশাপাশি বিরোধী শিবিরকেও নাম না করে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের সেনা জওয়ানরা মুখে কিছু বলেন না, তবে নিজেদের সাহস দেখিয়ে দেন গোটা দুনিয়াকে। আমাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও তাই। আমি যখন বলেছিলাম, জওয়ানরা বেশি কথা বলেন না, নিন্দুকরা বলেছিলেন, মোদী কিছুই করছেন না, ঘুমোচ্ছেন! বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদী এও বলেন, বিশাল আর্থিক বোঝা ঘাড়ের ওপর থাকা সত্ত্বেও আমরা এক পদ, এক পেনশন চালু করেছি। আগের সরকারগুলি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বড় বড় কথা বলেছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই করেনি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, প্রতিরক্ষা উত্পাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমি নিশ্চিত, এমন দিন আসবে, যখন আমরা অস্ত্র রপ্তানি করব। শৌর্য সম্মান সভা-য় ভাষণ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ভারতের দৃঢ়তা, সংকল্পের কোনও খামতি নেই বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে গোটা দুনিয়ার সামনে অসামান্য সাহসের নজির তৈরি করায় সেনা জওয়ানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। চৌহান বলেন, সাহসী জওয়ানদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা। শৌর্য স্মারক শুধু একটা সৌধ নয়, ওদের সাহস, বীরত্বের মন্দির। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল রাজধানী শহরে। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ বাজার-সর্বত্র কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। নানা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে চলে তল্লাশি। বেলা তিনটের পর সব সরকারি, আধা সরকারি দপ্তরে কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে সার্কুলার জারি করে প্রশাসন।