উরি হামলার জবাবে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে সেনা। সেই পদক্ষেপে মানসিকভাবে সেনা অনেকটাই শক্তপোক্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই আগামী গ্রীষ্মে পাকিস্তান যাতে তাদের সন্ত্রাসবাদের লঞ্চ প্যাডগুলিকে আবার সক্রিয় করতে না পারে তাই স্থানীয় কম্যান্ডারদের দরকারমত ব্যবস্থা নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
উধমপুরের নর্দার্ন কম্যান্ডের কাছে খবর, ৩৭৫-৪০০ জঙ্গি নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে অপেক্ষা করছে, তারা অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি। যেহেতু এবার কাশ্মীরে সর্বাপেক্ষা কম তুষারপাত হয়েছে, তাই খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে জঙ্গিদের এপারে পাঠানোর কাজ শুরু করতে পারে পাকিস্তান। রেডিওয় পাক সেনার কথাবার্তা ও কবর সংক্রান্ত আলোচনা শুনে মনে করা হচ্ছে, গত বছর নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনার হাতে মারা পড়েছে ১৩৮ জন পাক সেনা, ১৫৬ জন আহত হয়েছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ২০ জন পাক সেনা খতম হয়েছে, আহতের সংখ্যা ৭।
উল্টোদিকে পাক গুলিবর্ষণে শহিদ হয়েছেন ৯ জন ভারতীয় সেনা। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ৩২। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানকে সমঝে দিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ করছে ভারতীয় সেনা, সেটা কখনও টানা গুলি বর্ষণ, কখনও শাস্তিমূলক গুলি বর্ষণ, কখনও হানাদারি আবার কখনও গেরিলা যুদ্ধ।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার এ ধরনের পদক্ষেপে রীতিমত শঙ্কিত পাকিস্তান। নিজেদের ছাউনি ও নাগরিকদের প্রতি প্রায় ৩৬টি লাল সঙ্কেত জারি করেছে তারা। ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিসনার জে পি সিংহকে ডেকে পাঠিয়ে তারা অভিযোগ করেছে, বাত্তাল সেক্টরে ভারত অকারণে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।