পুনে: প্রশাসন যদি চায়, সেনা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করুক আর জঙ্গি কার্যকলাপ দমন করুক, তবে তাদের গুলি চালানোর অধিকার দিতেই হবে। সেনাকে লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষে সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশের জবাবে এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকর।


উত্তর পূর্বাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ সেনা অধিকার আইন বা আফস্পা বলবৎ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, অশান্তিপ্রবণ এলাকাতেও সেনার বাড়াবাড়িরকমের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত নয়। এর জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা জওয়ানদের ঠুঁটো করে দিয়ে তাঁদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। সেনাকে যদি ব্যবহার করতেই হয়, তবে তাদের অশান্তিদমনে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিতেই হবে। তা যদি পছন্দ না হয়, তবে সেনা ব্যবহারের দরকার নেই। শুধু প্রাকৃতিক বা ও ধরনের কোনও বিপর্যয় ছাড়া সেনার ব্যবহার করতে না হলেই সবথেকে ভাল হবে।

সেনার বিরুদ্ধে কাশ্মীরে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে যে ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলি সম্পর্কে পর্রীকর বলেন, ওই সব ভিডিও জাল। ভারতীয় সেনা সাধারণের ওপর নির্যাতন করে না। স্রেফ খুনের জন্য খুন করে কোনও আনন্দ পায় না তারা। তবে হ্যাঁ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। ভারতীয় সেনা শেষ আঘাত হানতে অবশ্যই সক্ষম কিন্তু তাদের কোনওভাবেই অত্যাচারী বলা যায় না।