পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে সীমান্তের ওপার থেকে ছুটে আসা বুলেটের ঘায়ে প্রাণ হারান সেপাই মনদীপ সিংহ নামে সেনা জওয়ান। ২৩ বছরের এই যুবক পঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলার আলমপুর গ্রামের ছেলে বলে জানান প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র। তিনি জানান, এদিন সকাল থেকে ছোট, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে নাগাড়ে গুলিবর্ষণ করে পাক সেনা। মারাত্মক জখম হন মনদীপ। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
পাল্টা ভারতীয় জওয়ানরাও মুখের মতো জবাব দেন বলে জানান ওই মুখপাত্র।
তিনি বলেন, গৌরা রাম ও গৌর সিংহ নামে দুই বাসিন্দাও জম্মুতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের গুলিতে নিহত হন। আজ সকাল থেকে আর এস পুরার সুচেতগড় সেক্টরের অকট্রয় থেকে চেনাব পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এক বিএসএফ মুখপাত্র। পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছন আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার ৮-৯ হাজার বাসিন্দা। হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে এনে আশ্র্রয় দেওয়া হয়েছে আর এস পুরা, সাম্বা ও কাঠুয়ায়।
পাকিস্তানের দিক থেকে হামলা, অশান্তি বন্ধ না করার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ রাষ্ট্রের ইয়াভতমলে বলেন, ভারতে সন্ত্রাসবাদীদের ঢুকিয়ে দেওয়া, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা পাকিস্তানের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। বিকৃত মানসিকতা ওদের। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রক, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, যারাই হোক, সবাইকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে পাকিস্তানের হঠকারিতার জবাব দিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, প্রথম বুলেটটা আমরা ছুঁড়ব না বটে, তবে ওদিক থেকে একটা বুলেট এলে দশটা ছুঁড়ে জবাব দিতে হবে আমাদের।
প্রসঙ্গত, গতকালও জম্মু ও কাশ্মীরের তিন জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় পাক বাহিনীর ব্যাপক মর্টার হামলায় দুজন নিরীহ মানুষ, এক বিএসএফ জওয়ান প্রাণ হারান, ২৩ জন জখম হন।