দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের ছেলে ফয়াজ ছিলেন রাজপুতানা রাইফেলসে ছিলেন। পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকতেই তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। ঠিক ছিল ২৫ মে জম্মুর আখনুরে নিজের ইউনিটে ফের যোগ দেবেন। এই প্রথম তাঁর ছুটি নেওয়া, চিরদিনের মতোই ছুটি নিয়ে নিলেন তিনি।
সেনাকর্তাটি এদিন ফয়াজের হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, কাশ্মীরের মানুষকেও একজোট হয়ে যেসব 'কাপুরুষ' এ ধরনের জঘন্য অপরাধ ঘটায়, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত করতে হবে। তাঁরা নিজেদের 'প্রিয় সন্তানদের' এমন বেদনাদায়ক পরিণতি আর মেনে নিতে পারবেন না। কাশ্মীর উপত্যকায় মোড় ঘুরিয়ে দেবে এ ঘটনা, এখানকার জনগণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্রোতের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেবেন। সেনাবাহিনী ফয়াজের পরিবারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে বলেও তাঁদের বার্তা দেন তিনি।
এদিকে ফয়াজের অন্ত্যোষ্টির শেষযাত্রার সময়ও পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। শোকমিছিলে গুলির আওয়াজও নাকি পাওয়া গিয়েছে। সততা, সাহসের জন্য এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন, তাই শেষযাত্রায় মানুষের ঢল নেমেছিল। কিন্তু সেখানেও একদল গ্রামবাসী নাকি অন্ত্যোষ্টি চলাকালে সেনা, পুলিশকর্মীদের টার্গেট করে পাথর ছোঁড়ে। কেন ফয়াজকে সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় সম্মান দিচ্ছে, এ নিয়ে ক্ষোভ জানায় তারা। আবার আরেকদল নাকি দাবি করে, তাঁর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে সাজা দিতে হবে।
এর মধ্যেই শুরু হয়েছে অভিযোগ, দোষারোপের পালা।