আধার কার্ড ইস্যু করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য কী ভাবে যে কেউ পেতে পারেন, সে সম্পর্কে খবর করে ‘দ্য ট্রিবিউন’-এর সাংবাদিক রচনা খায়রা। এরপরই মুখ পোড়ে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষের। তারজন্যে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এপ্রসঙ্গেই স্নোডেনের মত, সরকারের উচিত নিরপেক্ষ হওয়া। ওই সাংবাদিক যে কাজটি করেছেন, সেটা একটা বড় সত্যকে সামনে এনেছেন তিনি। এখন সরকারের উচিত নীতি বদলে প্রত্যেক দেশবাসীর ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
দ্য ট্রিবিউনে প্রকাশিত ওই খবর প্রসঙ্গে ইউআইডিএআই-এ তরফে দাবি করা হয়, এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এরপরই ওই দৈনিক ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর।
যদিও এই এফআইআর-এর পরই বিরোধীরা সমালোচনায় সরব হন। জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি তুলেছে, এফআইআরটি এখনই প্রত্যাহার করতে হবে। সমালোচনার মুখে কিছুটা পিছু হোটে কেন্দ্র সোমবার জানায়, তারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র ও সাংবাদিককে তদন্তে সাহায্য করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইট করে বলেন, সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার বিষয় বদ্ধপরিকর। এছাড়া আধারেরর সমস্ত গোপনীয়তা রক্ষা করতেও ইউআইডিএই কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই এই ঘটনার আসল অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তি দেওয়াটা এখন লক্ষ্য কেন্দ্রের।
এর আগেও স্নোডেন একটি টুইট করে বলেছিলেন, ভারত সরকারের তৈরি আধার তথ্য যেকোনও মুহূর্তে অপব্যবহরা করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রশাসনের প্রাক্তন কন্ট্র্যাক্টর স্নোডেন ২০১৩ সালে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির তত্ত্বাবধানে চালানো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন অপারেশনের তথ্য সামনে এনে সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে আসেন।