পটনা: পটনা বইমেলার উদ্বোধনে গিয়ে একটি পদ্মফুলে রঙ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিভিন্ন মহল প্রশ্ন করতে শুরু করেছে, এর মাধ্যমে কি এনডিএ-তে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন তিনি?


বুধবার বইমেলার উদ্বোধনে গিয়ে ক্যানভাসে আঁকা ওই পদ্মে রঙ করেন নীতীশ। বিহারকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে তিনি যে ৭টি পরিকল্পনা নিয়েছেন, তা ওই ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতে ১৩টি রাজ্য থেকে এসেছেন ২৭জন প্রথিতযশা শিল্পী। তাঁদেরই একজন রঙে চুবিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলি তুলে দেন। তাতেই নীতীশ রঙ করেন ওই পদ্মে।

এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরে ঘোষিত শত্রু লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে হাত মিলিয়েই নীতীশ বিহারে বিজেপিকে আটকান। কিন্তু আরজেডি-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর ধারণা, বিহারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য আরজেডি-র বাড়বাড়ন্তই দায়ী। এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে নোটবদলকে সমর্থন করে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ-কে বার্তা দিয়েছেন নীতীশ। জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার জন্য নীতীশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এখন আবার বিজেপির প্রতীক পদ্মে রঙ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর একসময়ের সহযোগী দলকে ফের কোনও বার্তা দিলেন কিনা।

জেডিইউ-বিজেপি শাসনকালে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী থাকা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী মন্তব্য করেছেন, নীতীশের যতদিন তিনি বিজেপির হাত ধরে ছিলেন, সেটাই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সেরা সময় ছিল। সে সময় তিনি রেলমন্ত্রী হন, তিন তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পূর্ণ সমর্থন করেছিল বিজেপি। নীতীশ নিশ্চয়ই সে কথা নিজের মনে বুঝতে পারছেন।

আরজেডি অবশ্য বলেছে, কেন আচমকা নীতীশ পদ্মফুলে রঙ করতে গেলেন, তা তারা জানে না। তবে তিনি সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে মতবিরোধের জেরে বিজেপিকে ত্যাগ করেছেন তিনি। বিহারে জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস জোট দারুণ চলছে বলেও দাবি করেছে তারা।

নীতীশের দল জেডিইউ আবার বলেছে, পদ্মে রঙ করা কোনও ইস্যুই নয়। শিল্পকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করা অনুচিত বলে মন্তব্য করেছে তারা।