বেঞ্চ বলেছে, বিষয়টি গতকাল উত্থাপন করা হলে আমরা আজ শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করতে বলি কেননা পশ্চিমবঙ্গ ও আরও কয়েকটি রাজ্যে তখনও ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছিল। সোমবারই তা তুলে নেওয়া হয়। তাই বিষয়টি এখনই শুনানি করতে হবে, এতটা জরুরি বলে মনে হয় না। বিষয়টি গরমের ছুটির পর যথাযথ বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হোক।
বেঞ্চ আরও বলেছে, আমরা বুঝতে পারছি, এটা সিরিয়াস ব্যাপার, কিন্তু অন্য নাগরিকদের বাদ রেখে শুধু ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে পারি না। আমাদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগতে হবে। পুলিশকর্মী, আরও নানা বিষয়ের মতো বৃহত্তর ছবিটা মাথায় রাখতে হবে। আমরা ডাক্তারদের সুরক্ষার বিরোধী নই, কিন্তু একইসঙ্গে আমরা প্রতিটি ডাক্তারের জন্য পুলিশ নিয়োগের নির্দেশ দিতে পারি না।
এদিকে এরই মধ্যে ডাক্তারদের সংস্থা আইএমএ-ও একটি আবেদন পেশ করে ইতিমধ্যে পেশ করা আর্জির ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেছে, সারা দেশেই ডাক্তারদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। দেশের ৭৫ শতাংশের বেশি ডাক্তার কোনও না কোনও ধরনের হিংসার সম্মুখীন বলে উল্লেখ করেছে তারা। আইএমএ এও বলেছে, ডাক্তাররা আমাদের রক্ষক, বিশেষত সরকারি হাসপাতালগুলিতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে গরিব, দুর্বল মানুষকে চিকিত্সা দিয়ে জাতীয় দায়িত্ব পালন করছেন।