নয়াদিল্লি: আগরার তাজ যাদুঘর, দিল্লির ইন্ডিয়ান ওয়ার মেমোরিয়াল মিউজিয়াম, কোনারকের যাদুঘর, হাম্পি সহ দেশের মোট ৪৬টি যাদুঘরে সেলফি স্টিক নিষিদ্ধ করে দিল জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (এএসআই)। এক নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে যাদুঘর চত্বরে আর সেলফি স্টিক নিয়ে ঢোকা যাবে না।


এএসআই-এর ডিরেক্টর ড. কে লুর্ডুসামি বলেছেন, ‘সময় বদলে গিয়েছে। প্রতিটি দর্শনীয় স্থানেই লোকজন গিয়ে অবাধে মোবাইল ফোনে ছবি তুলছে। স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরে গিয়ে লোকজন শ্যুটিংও করছে। সেই কারণেই কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে এএসআই।’

এএসআই আধিকারিকরা বলেছেন, যাদুঘরগুলিতে বহু দুর্মূল্য জিনিস রয়েছে। ঐতিহাসিক এই দ্রব্যগুলিকে রক্ষা করতে হবে। সেই কারণেই শুধু সেলফি স্টিকই নয়, যাদুঘরগুলিতে ছবি তোলার জন্য ট্রাইপড, মনোপড বা ফ্ল্যাশ লাইট নিয়ে ঢোকার উপরেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। যাদুঘরের মধ্যে যে আলো রয়েছে, তা ব্যবহার করেই ছবি তুলতে হবে। শিক্ষামূলক কাজে ছবি তোলার জন্য কেউ মাল্টিপল লেন্স, ট্রাইপড বা বড় ব্যাগ নিয়ে যাদুঘরে যেতে চাইলে ১৫ দিন আগে অনুমতি নিতে হবে।

দিল্লির জাতীয় যাদুঘরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল আর কে মিশ্র অবশ্য বলেছেন, এখনও পর্যন্ত সেলফি স্টিক নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে তাঁরা সেলফি স্টিক নিষিদ্ধ করার কথা ভাববেন। প্রাক্তন সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার আবার সেলফি স্টিক নিষিদ্ধ করার বিরোধী। তিনি বলেছেন, ‘আমার মতে প্রযুক্তিকে আটকানো যায় না। এএসআই আধিকারিকদের বোঝা উচিত, শুধু দোকান খুললেই কোনও লাভ হয় না। গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটানোও জরুরি। এএসআই ভারতীয় সংস্কৃতির তত্ত্বাবধায়ক, মালিক নয়। খোলা মনে কাজ করা উচিত এএসআই আধিকারিকদের।’