নয়াদিল্লি : উত্তরপ্রদেশের বাঘপত জেলায় খনন কার্যে সম্মতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-এর। সেখানে একটি শিবির গড়া হবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। আসলে স্থানীয় কিছু ইতিহাসবিদ ও বাসিন্দাদের দাবি, এখানে রয়েছে মহাভারতের যুগের 'লাক্ষাগৃহ' ও পঞ্চপাণ্ডবের এই গৃহ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুড়ঙ্গ। ধ্বংসস্তুপটি রয়েছে বারনাওয়া এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
মোদিনগরের মুলতানি মল কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কৃষ্ণকান্ত শর্মার দাবি, ওই ঢিবির নিচেই রয়েছে কৌরবদের তৈরি লাক্ষাগৃহ। পাণ্ডবদের মেরে ফেলতেই ওই গৃহ তৈরি করেছিল কৌরবরা। এছাডাও ওই ঢিপি খুঁড়লেই পাণ্ডবদের পালিয়ে যাওয়ার সুড়ঙ্গ পাওয়া যাবে বলেও তাঁর বিশ্বাস। তিনি আরও বলেছেন, বারণাবত থেকেই বর্তমান বারনাওয়া নামটি এসেছে। বনবাসের পর ফিরে এসে পাণ্ডবরা যে পাঁচটি গ্রাম চেয়েছিল, তার মধ্যে একটি বারণাবত।
কৃষ্ণকান্ত আরও বলেছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাহিত তথ্য ও বৃদ্ধদের মুখে শোনা কথা অনুযায়ী, সুড়ঙ্গটি এতই বড় ও এত বাঁক রয়েছে যে কেউ সেখানে নামার চেষ্টা করেনি। একমাত্র খনন করলেই তা কতটা দীর্ঘ এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব জানা যাবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
নয়াদিল্লির লালকেল্লার ইন্সস্টিটিউট অফ আর্কিওলজি এবং এএসআই-এর খনন বিভাগকে বাগপতে শিবির খোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এএসআই-এর (খনন) ডিরেক্টর জিতেন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, সংস্থার দুই কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে খননের কাজ করবে এবং তাদেরকে প্রস্তাব সম্পর্কে খতিয়ে দেখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
এএআই-এর দলের সদস্যরা অবশ্য নয়া এই কেন্দ্রের ধর্মীয় দিকটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। দিল্লির ইন্সস্টিটিউট অফ আর্কিওলজির ডিরেক্টর ড. এস কে মঞ্জুল বলেছেন, সবেমাত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়। এর কিছু দূরেই অন্যান্য স্থানে ২০০৫-এ প্রচুর কঙ্কাল ও মাটির পাত্র পাওয়া গিয়েছিল।এটা এখানে খননের অন্যতম কারণ। আগামী তিনমাস ধরে খনন চলবে এবং কী পাওয়া গেল তারওপর নির্ভর করছে এর মেয়াদ আর বাড়বে কিনা।