২৭ সেপ্টেম্বর: অসমে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। গোঁদের উপর বিষফোঁড়া আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। এই ফিভারে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৮ হাজার শূকর মারা গিয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বুঝে আরও ১২ হাজার শূকর নিধনের নির্দেশ দিয়েছে অসম সরকার।
প্রোটোকল অনুযায়ী কোনও মৃত শূকরের আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার-র রিপোর্ট যদি পজিটিভ হয়, তা হলে তার এক কিলোমিটার পরিধির গোটা অঞ্চলই এই রোগের কেন্দ্রস্থল বা এপিসেন্টার হিসেবে ধরা হবে। কেন্দ্রস্থলের বাইরের এক কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে নজরদারি এলাকা বা সারভেইল্যান্স জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তার পরের ৯ কিলোমিটার এলাকা বাফার জোন। অসমের ১৪টি জেলায় ৩০টি এপিসেন্টার রয়েছে।
মে মাসে প্রথম শিরোনামে আসে অসমে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-র সংক্রমণ। প্রতিবেশী রাজ্যগুলি অসম থেকে শূকর আমদানি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনও লক্ষ্মণ নেই। শূকর প্রতিপালনের সঙ্গে যুক্তদের অভিযোগ শূকর মৃত্যুর আসল পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না সরকার। ১৮ হাজার শূকরের মৃত্যুর কথা বলা হলেও, আসলে এক লক্ষ শূকর ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় এই মৃত্যু আটকানোর মতো কোনও প্রতিষেধক নেই। সর্বানন্দ সোনাওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, শূকর প্রতিপালকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না সরকার। শূকর নিধনে সাহায্য করছে না, কোনও ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না অসম সরকার। সরকারের তরফে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন শূকর প্রতিপালকের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। ১২ হাজার শূকরের মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে যাবে।
তবে শূকরের বেড়ে চলা মৃত্যুর মধ্যেও একটা স্বস্তির খবর। ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমাল হেলথ জানাচ্ছে পশু থেকে মানবদেহে এই ভাইরাস ছড়ায় না। শুধু পশু খামারে নয় গৃহপালিত পশুদের মধ্যেও আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-র সংক্রমণ হতে পারে। জুতো, জামাকাপড়, ছুরি. যানবাহন থেকেও ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ।
২০১৯ সালে শুমারি অনুযায়ী গোটা দেশের মধ্যে অসমে শূকরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।