দিফু (অসম): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত ডিগ্রি নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন। সেজন্য যে মানহানির মামলা হয়েছে, তাতে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে। সোমবার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু গরহাজির থাকায় ১০ হাজার টাকা অর্থমূল্যের পরোয়ানা জারি করে দিল্লির আমআদমি পার্টি (আপ) সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে ৮ মে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন দিফুর ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট নব কুমার ডেকা বরুয়া।
গত ২৬ ডিসেম্বর কেজরীবালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন কার্বি আংলং ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল এক্সিকিউটিভ সদস্য সূর্য রংপার। গত ৩০ জানুয়ারি হাজিরা দিতে বলে সমন পাঠিয়েছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। তবে ২৩ এপ্রিল দিল্লি পুরসভা ভোট, সেইসঙ্গে ঠাসা সরকারি কর্মসূচি রয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আদালত সেই আর্জি পূরণ করেনি।

ইতিমধ্য়ে অরুণ জেটলি মানহানি মামলায় ফেঁসে রয়েছেন কেজরীবাল। তার সঙ্গে যুক্ত হল আজকের পরোয়ানা।

কেজরীবাল ডিসেম্বরের ট্যুইটে কটাক্ষ করেছিলেন, মোদীজী ১২ক্লাস পর্যন্ত পড়াশােনা করেছেন। তার পরের সব ডিগ্রিই জাল। পাল্টা বিজেপি নেতা রংপারের অভিযোগ, কেজরীবালের মন্তব্য ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে লাগাতার তাঁকে বিঁধছেন কেজরীবাল।  তিনি বলেছন, মোদী আগে বলতেন, তিনি কলেজ যাননি। পরে তিনি করেসপন্ডেন্স কোর্সের ডিগ্রি দেখিয়েছেন, যা ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে। ডিগ্রিগুলি সত্যি হলে কেন সেগুলি লুকোচ্ছেন, দেখাতে দ্বিধা কেন ওনার?

কেজরীবাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন। তারা গত বছরের এপ্রিলে গুজরাত ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেয়, মোদীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর  ড্রিগ্রির বিস্তারিত নথি কেজরীবালকে দিতে হবে।