গুয়াহাটি: কলেজে এমএ পাঠরতা মেয়েকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন এক ব্যক্তি। একদিন রাত এগারোটা নাগাদ ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়ে বাধা দিতে তিনি ধারাল অস্ত্র বার করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। তখন সেই অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাঁকেই মেরে ফেলেন মেয়ে। পরিবারের সবাই মিলে তিনদিন ধরে প্লাস্টিকে মুড়ে রাখার পর দেহটি বাড়ির পিছনে কুয়োয় ফেলে দেন। অপরাধ লুকোতে তাঁরা থানায় নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করেন। প্রায় দু’মাস পরে দেহটি উদ্ধার করল পুলিশ। অভিযুক্ত মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের বিশ্বনাথ জেলায়। পুলিশ সুপার দিগন্ত কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ৩ মার্চ রাতে ৭১ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে খুন করেন তাঁর মেয়ে। এরপর ওই ছাত্রী তাঁর মা ও দাদার সঙ্গে মিলে দেহটি পাশের ঘরে রেখে দেন। পরদিন সকালে আরও দুই বোন মিলে দেহটি প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলেন। এরপর তাঁরা ১৫ ফুটের কুয়ো খুঁড়ে ৭ মার্চ সেখানে দেহটি ফেলে দেন। ১১ মার্চ বিশ্বনাথ চরিয়ালি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের কথায় অসঙ্গতি পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তকারীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের বাড়ির পিছনদিকে কুয়ো খোঁড়া হয়েছে। এরপর জেরার মুখে মূল অভিযুক্ত ভেঙে পড়ে বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুন এবং মা, দাদা ও দুই বোনের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।