বেঙ্গালুরু: নিজেদের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে ফার্মা কোম্পানিগুলির ডাক্তারদের দামি দামি উপহার দেওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বন্ধ হয়েছে কি? বেঙ্গালুরুতে পেডিয়াট্রিসিয়ানদের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে তাঁদের কী উপহার দেওয়া হয়েছে শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। গাড়ি, ফরেন ট্যুর হয়তো উপহার দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সংক্রান্তি বোনাঞ্জা হিসেবে একটি ফার্মা কোম্পানি সোনার মুদ্রা দিয়েছে তাঁদের!


এছাড়াও রয়েছে ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র, স্টেথোস্কোপের মত ছোটখাট উপহার। কোম্পানির অনুরোধ একটাই, টাইফয়েড আর রোটা ভাইরাসের মত অসুখবিসুখ রুখতে আমাদের ভ্যাকসিনের নামটা লিখবেন স্যার!

যদিও ওই বার্ষিক অনুষ্ঠানের প্রধান সংগঠক করুণাকর অস্বীকার করেছেন এই অভিযোগ। তাঁর দাবি, ১৮ বছর ধরে শিশুদের চিকিৎসা করছেন। ডাক্তারদের উপহার দেওয়ার ব্যাপারে যা শোনা যায়, তা মিথ্যে। হ্যাঁ, একবারে অনেকটা ওষুধ কিনলে হয়তো সেই সংস্থা মোট দামে খানিকটা ছাড় দেয়।

মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির ডাক্তারদের উপহার দেওয়া নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু যেভাবে ফ্লায়ার বা প্রচারপত্রের মধ্যে সংক্রান্তি বোনাঞ্জার নামে সোনার কয়েন বিলি করা হয়েছে, তা অবাক করার মত। তাতে লেখা ছিল, চিকিৎসকরা ১০০টিসিভি অর্থাৎ টাইফয়েডের ভ্যাকসিন আর ১০০রোটা বা রোটা ভাইরাসের ভ্যাকসিন অর্ডার দিলে একটি ডিজিটাল শিশুর ওজন মাপার যন্ত্র বা স্টেথোস্কোপের মধ্যে যে কোনও একটি উপহার হিসেবে বেছে নিতে পারেন। সোনার কয়েন পেতে হলে তাঁদের ওই দুটি ভ্যাকসিন ১৫০ করে অর্ডার দিতে হবে। ফ্লায়ারে অবশ্য কোনও সংস্থার নাম ছিল না।

এর আগে গত বছর এমনই এক অনুষ্ঠানে ডাক্তারদের অফার দেওয়া হয়, টাইফয়েড আর রোটার ৫০ করে ভ্যাকসিন অর্ডার দিলে মুক্তোর সেট দেওয়া হবে। আর ২০০ করে ভ্যাকসিনের অর্ডার দিলে হাতে আসবে আইফোন ফাইভ এস। সেখানে অবশ্য ভারত বায়োটেক কোম্পানির নাম ফ্লায়ারে লেখা ছিল। যদিও কোম্পানির মার্কেটিং হেড দাবি করেন, তাঁদের সংস্থার বদনাম করার জন্য মাল্টিন্যাশনাল সংস্থাগুলি ওই ফ্লায়ার বানিয়েছে।