অন্য একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটল টানেল এই অঞ্চলের যোগাযোগ সংক্রান্ত বড়সড় সমস্যার সমাধান করবে। এতে রয়েছে আরও কিছু সুবিধা এবং তা স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাপন আরও সহজ করবে। সোলাং উপত্যকা ও লাহুল স্পিতির সিসুতে অনুষ্ঠানেও যোগ দেব।
এদিন টানেল উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হিমাচল প্রদেশের লাইফ লাইন হয়ে উঠবে অটল টানেল। লাদাখেরও লাইফ লাইন হয়ে উঠবে এই টানেল এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করবে। তিনি আরও বলেছেন, পাহাড়ি পথে যাত্রার সময় ৩-৪ ঘন্টা কমে গেলে তার অর্থ কী, তা অনুধাবন করতে পারবেন হিমাচলের বাসিন্দারা।
এদিন টানেল উদ্বোধনের জন্য সকাল ১০ টায় হিমাচলপ্রদেশে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
৯.০২ কিমি লম্বা এই টানেল বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল। সারা বছর ধরে মানালি ও লাহুল স্পিতির মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখা যাবে এই টানেলের মাধ্যমে। এর আগে তুষারপাতের কারণে এই দুই উপত্যকার যোগাযোগ প্রতি বছর প্রায় ছয় মাস বিচ্ছিন্ন থাকত। মানালি থেকে লে-র দূরত্ব এই টানেলের ফলে কমছে ৪৬ কিমি। সময় বাঁচবে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা।
হিমালয়ের পীরপাঞ্জাল রেঞ্জে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এই টানেল তৈরি করা হয়েছে।
বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার কেপি পুরুষোত্তম বলেছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বিআরও-র কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলল। এটা সবার কাছেই একটি গর্বের মুহুর্ত। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে ১০ বছর লেগেছে। আত্মনির্ভর ভারতের একটি দৃষ্টান্ত এই টানেল।
এই টানেল তৈরি হওয়ায় হিমাচলের লাহুল স্পিতি এলাকা ও পুরো লাদাখ দেশের বাকি অংশের সঙ্গে ১২ মাসই সংযুক্ত থাকবে। কারণ, রোহটাঙ-পাস শীতের সময় তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয়ে যেত। এ কারণে লাহুল-স্পিতির মাধ্যমে লাদাখ যাওয়ার হাইওয়ে ছয়মাসের জন্য বন্ধ থাকে। এখন অটল টানেল চালু হওয়ায় এই সমস্যা মিটে যাবে।