অমিতকে খুঁজে বের করা সহজ ব্যাপার ছিল না। চেষ্টা করে স্কুলের সামনে এক দোকানির কাছ থেকে অমিতের নাম জানতে পারেন। থানায় ঘটনাটি জানাতে যাবেন, তখনই তাঁকে চমকে দিয়ে ব্যাগ নিয়ে হাজির অমিত। জানান, পিছনের আসন থেকে আরেক যাত্রী ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে দিয়েছেন। সরলা ধন্যবাদ দিতে দিতেই উধাও অমিত। অনেক চেষ্টার পর বেশ কিছুদিন বাদে দেখা মেলে অমিতের। তাঁকে স্কুলে ডেকে পাঠান, কৃতজ্ঞতা জানান। কিন্তু অমিতের উপকারের যোগ্য প্রতিদান কী হতে পারত?
সরলা বলেন, কথা বলে জানলাম, ওর আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। দুটো বাচ্চাকে স্কুলে পড়ানোর সামর্থ্য নেই। নিজে এককালে ছাত্র পড়িয়েছি। তাই ওর বাচ্চাদুটো পড়াশোনা ফ্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
পাশাপাশি সংবর্ধনা, ১০০০০ টাকা পুরস্কারও পেয়েছেন অমিত।